১৪ ছাত্রের চুল কাটার প্রতিবাদে উত্তাল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৬:০৯ পিএম

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত
১৪ ছাত্রের চুল কেটে দেওয়ার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠেছে সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সব ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি সকালেই অস্থায়ী একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনেও ঝুলানো হয় তালা। এ সময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিতে স্লোগান দেন তারা।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের বিষয়টি জানতে পেরে দুপুর ১২টার দিকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য আবদুল লতিফ সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় তিনি ছাত্রদের বিচারের আশ্বাস দিয়ে বলেন, আপনাদের দাবি-দাওয়া লিখিত আকারে জমা দিন। প্রক্টরিয়াল বডি আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থী যেই অপরাধী হোক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। এদিন যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল কাদেরী জয় ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স বলেন, এ রকম একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রত্যাশিত। সেই শিক্ষক এর পরদিন পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদেরকে হুমকি-ধামকি দেন। এতে আতঙ্কিত ও অবসাদগ্রস্থ হয়ে একজন শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা করে এখন হাসপাতালে ভর্তি আছে। এই ঘটনা অত্যান্ত বর্বর এবং ঘৃণ্য। বিগত ৩ বছর ধরেই তিনি শিক্ষার্থীদেরকে এ রকম হেনস্তা করে আসছেন, এ রকম অভিযোগ আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মত গণতান্ত্রিক ও মুক্তচিন্তার জায়গায় এ রকম বর্বর ও ঘৃণ্য মানসিকতার শিক্ষকের কোনও স্থান নেই।
নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ন্যুনতম গণতান্ত্রিক পরিবেশ অবশিষ্ট নেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যক্তিত্বহীন, পদলেহনকারী স্বৈরাচারী মনোভাবাপন্ন মানুষেরা এখন শিক্ষকের কাতারে। শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি, দলীয়করণ, স্বজনপ্রীতি, শিক্ষক মুল্যায়ন পদ্ধতি না থাকা, এই সমস্ত কারণে আজ শিক্ষকেরা এ রকম দলীয় মাস্তান ও সেনা কর্মকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে। শিক্ষকদের যে সম্মান ও মর্যাদার অবস্থান সমাজে ছিল, তা ধূলিস্যাৎ হয়ে গেছে।
তারা বলেন, আমরা অবিলম্বে এই শিক্ষক নামের কলঙ্ক ফারহানা ইয়াসমিনের অপসারণ ও শাস্তি দাবি করছি। একই দাবিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন, তাদের সঙ্গে পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন করছি।