শাহারুল ইসলাম সুজনের গুচ্ছ ছড়া

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৩, ১১:১৫ এএম

মনুষ্যত্ব
আকাশের মতো যদি
সুবিশাল! নিরবধি-
বয়ে চলা প্রাঞ্জলা
নদী হতে চাও
চলনের সরলতা
বলনের সরসতা-
বিনয়ের; হৃদয়ের
পরিধি বাড়াও।
অরুণের মতো উঠে তীব্রতা
কুসুমের রূপে ফুটে শুভ্রতা
ঢেলে দিতে ধরণীতে স্বপ্ন আঁকাও?
সত্যের ছায়াতলে
ধৈর্য, সাহস, বলে
খাঁটি স্বর্ণ হতে নিজেকে পোড়াও।
মনুষ্যত্বের মালা জীবনে জড়াও।
বড় হতে
বড় হতে পড়ালেখা
জড়ো করো জ্ঞান
সাধনার গান গেয়ে
শিক্ষার সিঁড়ি বেয়ে
নিশ্চয় হতে পারো তুমি বিদ্বান।
নীতি প্রীতি ধৃতি মেখে
শুচি করো প্রাণ
আলো হয়ে জ্বলো
ভালো পথে চলো
তবেই বড় হবে; রবে অম্লান!
প্রতিদান
যদি তুমি ভুলে মিছে সংকীর্ণতা
খুশি মনে ভেবে যাও অপরের কথা
সুখে-দুঃখে সদা যদি থাকে সখ্যতা
ভালোবাসা দিয়ে ভাঙো ধীর আবিলতা।
তবে তুমি সুবিশাল তোমারই কাজে
প্রতিদান পাবে জীবনের শত ভাঁজে
কাননের সুবাসিত কুসুমের সাজে
সারাক্ষণ ফুটে রবে হৃদয়ের মাঝে।
জীবনের ব্রত
দুনিয়ার এই ঘূর্ণিপাকে
জীবন বোঝে স্বার্থটাকে
খোঁজে পরের ব্যর্থতাকে
নয়ন বিষাদ কল্পনাকে।
হৃদয় অসৎ চিত্র আঁকে
কালোর পথে মিত্র ডাকে
ছলচাতুরি পুষে রাখে
মিথ্যা দিয়ে সত্য ঢাকে।
আমরা হব ফুলের মত
সুবাস দিয়ে মুছব ক্ষত
পরোপকারে থাকব রত
হোক তবে এই জীবন ব্রত।
প্রত্যাশা
কালো নাকি আলো চাও?
আলো, ভালো, শান্তি; সবকিছু চাই।
সকলের মাঝে আমি পাই যেন ঠাঁই।
ও আচ্ছা তাই!
শোনো তবে ভাই...
অপরের দুখে কাঁদো সুখে তুমি হাসো
উঁচু-নিচু, ছোট-বড় সবই ভালোবাসো।
অবশেষে যেটা পাবে সেটা বুঝে নাও...