বস্ত্র মন্ত্রী
সমাজ পরিবর্তনে পোশাক শিল্প ভূমিকা পালন করছে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ০৬:৪৫ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, পোশাক শিল্পকে আমরা শুধু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সব থেকে বড় ক্ষেত্র হিসেবে দেখছি না, সমাজ পরিবর্তনেও এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচনেও এ খাত মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। এ খাতে প্রায় ৪২ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তিনি বলেন, এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ শ্রমিক নারী। এই শিল্পের কল্যাণে নারীর ক্ষমতায়ন ফিরে এসেছে। নারীরা স্বপ্ন দেখতে শিখেছে। কাজেই সেই শিল্পকে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রতিনিধিরা মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নুরুজ্জামান, বিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত সভাপতি এস এম মান্নান কচিসহ বিজিএমইএ নেতারা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও কাস্টমস ঠিকমতো সহযোগিতা করছে না বিজিএমইএ নেতাদের এমন অভিযোগের প্রসঙ্গে বস্ত্র মন্ত্রী বলেন, অন্যান্য জায়গা থেকেও এরকম অভিযোগ এসেছে। এনবিআর ও কাস্টমসের যে সমস্যাগুলো রয়েছে এটা বড় সমস্যা। আমি আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। তিনি বলেন, আমরা আলোচনার মাধ্যমে পোশাক খাতের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করেছি। আমরা সমাধানের সূত্রগুলো বের করব।
আরো পড়ুন: নগরবাসীর আস্থাই আমার কাজের শক্তি
বিজিএমইএ’র দাবির প্রেক্ষিতে নানক বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করে পূর্ণভাবে প্রস্তুত না করে বাইরে কোথাও শিল্প করতে দেয়া যাবে না, এ নীতি নমনীয় করার চেষ্টা করব। আপনারা নগদ সহায়তা দান ২০২৬ সাল পর্যন্ত বলবৎ রাখার দাবি জানিয়েছেন। আমাদের টার্গেটে পৌঁছাতে হলে বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে এই নগদ সহায়তার বিষয়টি থাকতে হবে।
এর আগে বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার সময় আমরা মাত্র ২৩ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছিলাম। মাত্র ৮টা ফ্যাক্টরি ছিলো গ্রীন ফ্যাক্টরি। প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের সহযোগিতায় আজকে আমরা এ পর্যায়ে এসে ৪৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করতে পেরেছি। আজকে ২১৫টি গ্রিন ফ্যাক্টরি রয়েছে। আরো ৩০০ গ্রীন ফ্যাক্টরির পথে আছে। অর্থাৎ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গ্রীন ফ্যাক্টরি আজকে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ আজকে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা যাতে আইন মেনেই সুন্দর সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করতে পারি তার দাবি জানাচ্ছি। আমরা হয়রানি মুক্ত ব্যবসা করতে চাই। এসময় ২০২৬ সাল পর্যন্ত পোশাক রপ্তানিতে নগদ সহায়তা বহাল রাখার দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি সোর্স ট্যাক্স ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫০ শতাংশ করার দাবি জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করেছে, সেখানে লেখা আছে অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে শিল্প করা যাবে না। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে মাত্র তিনটি চালু হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু না করেই বাইরে শিল্প করা যাবে না, এমন নির্দেশনা দিলে বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এই সার্কুলার তুলে নেয়ার দাবি জানান তিনি।