ইন্টারনেটের গতিতে এগিয়েছে বাংলাদেশ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ০১:১৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতিতে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ১১০তম এবং মার্চ মাসে তালিকায় দেশের অবস্থান ছিলো ১১২তম। একই সময়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতিতেও দুই ধাপ এগিয়ে ১০৮তম থেকে ১০৬তম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।
প্রতি মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইন্টারনেটের গতি কেমন তা তুলে ধরে স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স নামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওকলা।। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এপ্রিলে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটে গড় ডাউনলোড স্পিড ছিলো ২৩ দশমিক ৮৩ এমবিপিএস ও আপলোড স্পিড ছিলো ১০ দশমিক ৮০ এমবিপিএস। এ সময়ে মেডিয়ান ল্যাটেনসি ছিলো ২৬ মিলিসেকেন্ড।
অন্যদিকে, একই সময়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ডাউনলোডের গতি ছিলো ৪৬ দশমিক ৫২ এমবিপিএস। আপলোড গতি ছিলো ৪৫ দশমিক ৩১ এমবিপিএস। আর মেডিয়ান ল্যাটেনসি ছিলো ৫ মিলিসেকেন্ড।
আরো পড়ুন: স্বপ্নজয়ী মা সম্মাননা পেলেন ১১ জন মা
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক জানিয়েছেন, ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক নিয়ে কিছু কাজ করলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি আরো বাড়িয়ে র্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। শহরভিত্তিক ব্যান্ডউইথগুলো থেকে কিন্তু আমরা গ্রাহকের চাহিদামতো এমবিপিএস গতি দিতে পারছি। কেউ যদি ১০ এমবিপিএসের জায়গায় ২০ এমবিপিএসও চান, তবুও দেয়া সম্ভব। সামান্য দাম বাড়িয়ে এটা দেয়া সম্ভব হয়। এটা ঢাকার বাইরের গ্রাহকদের দিতে গেলে খরচটা বেড়ে যায়। সেটা নিয়ে এখন কাজ করা উচিত।
মোবাইল ইন্টারনেটের গতির সূচক নিয়ে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এ নিয়ে তারা মন্তব্য করতে রাজি হননি। রবির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও গতি নিয়ে আমরা কাজ করছি। এখানে বিটিআরসি ও সরকারের যে সহযোগিতা প্রয়োজন, তা সবসময় পাওয়া যায় না।
বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের পরিচালক মো. গোলাম রাজ্জাক বলেন, ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। সরকারের দায়িত্বশীলদের নির্দেশনায় কাজ করছি। ওকলার সম্প্রতি ইনডেক্স খেয়াল করা হয়নি। ফলে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।