এলজিইডি মন্ত্রী
গ্রামাঞ্চলে সুষম-টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হলে অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন কমবে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৪, ০৯:২২ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন একটি চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, গ্রামাঞ্চলে শহরের মতো সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষা, কাজের সুযোগ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি ক্ষেত্রে গ্রাম অঞ্চলে সুষম ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হলে অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন প্রবণতা হ্রাস পাবে।
বুধবার (২৯ মে) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে ইউএনডিপি ও ইউকে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের সহযোগিতায় আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটাতে ও সুযোগ সুবিধার জন্য মানুষের গ্রাম থেকে শহরে যাওয়ার একটা সহজাত প্রবণতা থাকে। এটা সারা বিশ্বেই হয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ একটি আয়তনে ছোট ও ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়ায় এতগুলো মানুষের শহরে ঠিকমতো নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং একটা কাজ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এই লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় সামরিক শাসনামলের শোষণ বঞ্চনায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, খাদ্য, শিক্ষাসহ সবক্ষেত্রেই ছিলো শোচনীয় অবস্থা। খাদ্য ঘাটতির অবস্থা ছিলো শোচনীয়। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পরপরই সাড়ে তিন বছরের মাথায় বাংলাদেশ ঘাটতি পূরণ করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেবার অঙ্গীকার নিয়ে প্রতি ৬০০০ জন মানুষের জন্য গঠিত হয় কমিউনিটি ক্লিনিক। স্বাস্থ্যসেবা ও জনগণের পুষ্টির মান হয় উন্নত। শিক্ষাখাতসহ গ্রামীণ অবকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থায় আসে দৃশ্যমান উন্নয়ন । জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার যে প্রত্যয় ছিলো, বর্তমান সরকার সে স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
একপর্যায়ে এ প্রসঙ্গে ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়ার উদাহরণ টেনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের মতো সমসাময়িক অনেক দেশ উন্নতির শিখরে পৌঁছে গেছে তাদের নিরলস প্রচেষ্টা আর কঠোর পরিশ্রমের কারণে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে একসাথে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এগিয়ে এলে ২০৪১ সালের মধ্যে একটা স্মার্ট উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো।
কর্মশালায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফান লিলার, ব্রিটিশ হাইকমিশনের উপ-হাই কমিশনার ম্যাট ক্যানেলসহ আরো অনেকে।