শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে যা জানালেন মিলার

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৪, ০৯:২৬ পিএম

ম্যাথিউ মিলার ও শেখ হাসিনা
পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সরকারের পতনের প্রেক্ষিতে এখন বিভিন্ন দেশে আশ্রয় খুঁজছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে মুখ খুলেছেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। সোমবার (৫ আগস্ট) স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানে হাসিনার দেশ থেকে পলায়ন ও আশ্রয় প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
ব্রিফিংয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের করেসপন্ডেন্ট মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, আপনি জবাবদিহিতার কথা বললেন। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছেন। তিনি পশ্চিমের যে কোনো দেশে আশ্রয় নিতে চেষ্টা করছেন। চরম মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে কী আপনারা যুক্তরাষ্ট্রে আসতে দিবেন? প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, এ ধরনের কোনো অনুরোধ আমাদের কাছে আসেনি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে তার ছোট বোনকে নিয়ে দেশ ছাড়েন। সে পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদও ভেঙে দেয়া হয়েছে। অনেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা রয়েছে। এ অবস্থায় দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার কথা আগেই জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে বাংলাদেশে অন্তর্বতী সরকার গঠন প্রক্রিয়াকে গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে দেশটি।
এরমধ্যেই স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বৃটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান টুইটে নিশ্চিত করেছে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শেখ হাসিনা সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ ছেড়েছেন এবং ভারতে বসেই তার পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গেছে।
এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কাছে গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়, যুক্তরাষ্ট্র শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, সাবেক সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও কর্মকর্তাদের মার্কিন ভিসা প্রত্যাহার করেছে কিনা। এ বিষয়ে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইবেলি বলেন, ভিসা রেকর্ডগুলো মার্কিন আইনের অধীনে গোপনীয়। তাই, আমরা পৃথক ভিসার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি না।