পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি-শৃঙ্খলা ও সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ণ রাখতে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।  ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়।

খেলাফত মজলিসের নেতারা বলেন, বাংলাদেশের সব মানুষের প্রধান পরিচয় হচ্ছে বাংলাদেশি। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় মানুষ শান্তি চায়। প্রশাসন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এরপরও উপজাতী ও বাঙালি পরিচয়কে প্রাধান্য দিয়ে  কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে মাঝে মাঝে অস্থিতিশীল করে তুলতে চায়। 

তারা বলেন, সশস্ত্র আক্রমণে উপজাতী ও বাঙালি নির্বিশেষে সাধারণ নাগরিকরা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। এরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নে লিপ্ত। পার্বত্য এলাকায় স্থিতিশীলতা বিনষ্টে যেকোনো অপতৎপরতা বন্ধে প্রশাসনকে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

বৈঠকে আরো বলা হয়, হিন্দু সম্প্রদায় আসন্ন ধর্মীয় উৎসব যাতে নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী যেকোনো চক্রান্তের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আবহমানকাল ধরে এখানকার বিরাজমান ধর্মীয় সহাবস্থান কেউ ষড়যন্ত্র করে নস্যাৎ করতে পারেনি। 

খেলাফত মজলিসের নেতারা আরো বলেন, মুসলিম দেশে অমুসলিমদের নিজস্ব উপাসনালয়ে ধর্মীয় কাজে বাধা দেওয়ার অধিকার কারো নেই। প্রশাসনের পাশাপাশি প্রয়োজনে সাধারণ মুসলিমরা তাদের নিরাপত্তা দিবে। দেশি-বিদেশি অপশক্তির সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে দেশপ্রেমিক জনতা ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। 

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন নায়েবে আমীর অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ। মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, জিল্লুর রহমান, জহিরুল ইসলাম, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবুল হোসেন, প্রিন্সিপাল মাওলানা আজিজুল হক প্রমুখ।