ভারতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে গণতন্ত্রের পক্ষে থাকবে নাকি ফ্যাসিবাদের: দুদু

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩২ পিএম

শামসুজ্জামান দুদু । ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে এবং দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। গণমানুষের তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। দুদু বলেন, ভারতকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা গণতন্ত্রের পক্ষে থাকবে নাকি ফ্যাসিবাদের পক্ষে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’-এর উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। সমাবেশে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার প্রতিবাদ, শেখ হাসিনার বিচার এবং বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার দাবি তুলে ধরা হয়।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। তারা বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে থাকলেও সতর্ক না করেই তাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে। এ ধরনের বর্বরতা কোনো দেশের সীমান্তে দেখা যায় না। আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র ভারতকে এ হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।
বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার লুটপাট, গণতন্ত্র হত্যা, এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন-পীড়নে লিপ্ত। গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনে বিএনপির নেতাকর্মীদের গুম, হত্যা, এবং মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। তারা দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করেছে, যা বিশ্বে নজিরবিহীন।
দুদু বলেন, গণমানুষের দাবির মুখে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছে। এখন ভারতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা গণতন্ত্রের পক্ষে থাকবে নাকি ফ্যাসিবাদের পক্ষে। আমরা বিস্মিত, কেন জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ড. ইউনূসকে সমর্থন না দিয়ে ভারত শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়িয়েছে।
আরো পড়ুন: তিন ইস্যুতে অস্বস্তি বিএনপির
তিনি দেশের অর্থ লুটপাটকারীদের হুঁশিয়ার করে বলেন, দেশের জনগণের অর্থ যারা বিদেশে পাচার করেছে, তাদেরকে সেই অর্থ ফেরত দিতে হবে। শেখ হাসিনার পরিবার ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এই লুটপাট করা অর্থ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমরা শান্ত হবো না।
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো ফ্যাসিবাদের কাছে মাথা নত করেনি, আর ভবিষ্যতেও করবে না। বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকার গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে এবং ১৬ বছরের জঞ্জাল পরিষ্কার করবে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের লক্ষ্যই হচ্ছে দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত করা।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ইমরান সালেহ প্রিন্স, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান এবং জাগপা নেতা রাশেদ প্রধান।