বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না, জনগণই বিচার করবে: আওয়ামী লীগ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সংশ্লিষ্টদের মামলা, গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা যবে না, এমন নির্দেশ দিয়ে সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে আওয়ামী লীগ বলছে, ‘ওই আন্দোলনে যারা হাজার হাজার পুলিশ হত্যা করেছে, কয়েক হাজার মানুষকে পিটিয়ে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করেছে, অনেককে আজীবনের জন্যে পঙ্গু করেছে, লাখ-কোটি টাকার জনগণের সম্পদের ক্ষতি করেছে তাদেরকে সব অপকর্মের জন্য দায়মুক্তি দিয়ে দেয়া হয়েছে।’
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে আওয়ামী লীগ তাদের ভেরিফাইয়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছে। সেখানে তারা জানিয়েছে, ‘জনগণ এই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে ইনডেমনিটি বাতিল করে; সব হত্যাকারী, লুণ্ঠনকারী, অগ্নিসংযোগকারী ও দেশের সম্পদ বিনষ্টকারীদের বিচার এই বাংলাদেশের মাটিতেই করবে।’
আওয়ামী লীগ বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘এমন ঘটনা যেন ৭৫ এর ১৫ আগস্ট পরবর্তী সব ঘটনার পুনরাবৃত্তি! বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর খুনিদের যেমন ইনডেমনিটি দিয়েছিল খন্দকার মোশতাক ঠিক তেমনি ২০২৪ সালের হত্যা, খুন, অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জোরপূর্বক দেশত্যাগ করিয়ে হাজার হাজার মানুষকে হত্যার পর অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করে ড. ইউনুস ও তার পরিষদ হত্যাকারী ও দেশের সম্পদ ধ্বংসকারী, চক্রান্তকারীদের দায়মুক্তি দিয়ে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে চাচ্ছে।’
আরো পড়ুন: ওবায়দুল কাদের কোথায়, জানেন না আওয়ামী লীগ নেতারাও
পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘১৫ আগস্টের খুনীদের ইনডেমনিটি দিয়েও রক্ষা করতে পারেনি খন্দকার মোশতাক। জনগণ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে মহান জাতীয় সংসদে ইনডেমনিটি বাতিল করে হত্যাকারীদের বিচার করেছে। ইনশাআল্লাহ খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না আবারো বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনগণ এই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে ইউনুসের ইনডেমনিটি বাতিল করে সব হত্যাকারী, লুণ্ঠনকারী অগ্নিসংযোগকারী ও দেশের সম্পদ বিনষ্টকারীদের বিচার এই বাংলাদেশের মাটিতেই করবে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ১৫ জুলাই থেকে যে সব হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ সংগঠিত হয় সেগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্যে তিন সদস্য বিশিষ্ট জুডিশিয়াল এনকোয়ারি কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা, জাতিসংঘের কাছে উন্নত প্রযুক্তিসহ তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতার জন্যে আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু ড. ইউনুস জুডিশিয়াল কমিটির তদন্ত স্থগিত করে দেন।
আওয়ামী লীগ বলছে, ‘ড. ইউনুস যুক্তরাষ্ট্র সফরে বিশ্ব মিডিয়ায় বলেছেন জুলাইয়ের আন্দোলন ছিল একটি সূক্ষ্ম পরিকল্পনা এবং মাস্টারমাইন্ডের মাধ্যমে তা পরিচালিত হয়। এর মানে হলো আন্দোলনের সময় যতো হত্যা হয়েছে তা প্রিপ্ল্যানিংয়ের মাধ্যমেই হয়েছে। যারা এই কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছে এবং ৫ আগস্ট থেকে হাজার হাজার মানুষ-পুলিশ হত্যা করেছে তারা চিহ্নিত হোক ও বিচারের মুখোমুখি হোক তা ইউনুস চান না।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি দেয়ার মাধ্যমে বিনা তদন্তে ও বিনা বিচারে ক্ষমা করে দিয়েছেন একইসঙ্গে তিনি ও তার সহযোগীরাও এসব হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত, তাই প্রমাণিত হয়।