জনগণের ভোটাধিকার কবে দেবে সরকার? গয়েশ্বরের প্রশ্ন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩০ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেছেন, জনগণ তাদের পাশে রয়েছে, তবে জনগণের ন্যায্য ভোটাধিকার কবে দেয়া হবে, তা সরকার বলছে না কেন? তিনি সরকারের কাছে জানতে চান, কেন নির্বাচন কমিশন এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে এবং নির্বাচন সংস্কারের জন্য কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। নির্বাচনি সংস্কারের প্রক্রিয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে গয়েশ্বর বলেন, যদি সংস্কার করতে হয়, তাহলে রাজনীতিবিদদের পরামর্শ নিতে হবে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে শহীদ নাসিরউদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে শহীদ নাসিরউদ্দিন পিন্টুসহ সব শহীদের হত্যার বিচার চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘জানা-অজানা হাজারো মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে কেবল একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছিল। সরকারের প্রধান দায়িত্ব হলো সেই নির্বাচন সঠিকভাবে পরিচালনা করা। যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে তাদের সমস্যা কোথায়? অন্য কেউ ক্ষমতায় এলেও কি সমস্যা হবে? বর্তমানে আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত আমলা ও প্রেতাত্মারা দেশ চালাচ্ছে এবং তারা জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে রাখতে নির্বাচন সংস্কারের গল্প শোনাচ্ছে। আপনারা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন।’
তিনি আরো বলেন, ‘নাসিরউদ্দিন পিন্টু জাতির জন্য তার জীবন দিয়েছেন। তিনি অত্যন্ত সাহসী ছিলেন এবং পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য পিন্টু নিজের জীবন দিয়েছেন। বিডিআর হত্যাকাণ্ডও একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল, যার মূল হোতা শেখ হাসিনা।’ গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।
সভায় বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগ নামক দলকে আল্লাহ মৃত্যুর দরজায় নিয়ে গেছে। ক্ষমতার অহংকারে শেখ হাসিনা ও তার দলবল দেশের জনগণের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। তবে খুব শীঘ্রই আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দেবে।’
তিনি আরো জানান, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাগুলোর কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে একটি গেজেটের মাধ্যমে ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর সব মামলা প্রত্যাহারের সুযোগ রয়েছে। আলাল আশা প্রকাশ করেন যে, সরকার এই মামলাগুলো তুলে নেবে।
আরো পড়ুন: বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না, জনগণই বিচার করবে
সভায় অংশগ্রহণকারীরা বিএনপির নেতাদের বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের করা প্রশ্নের উত্তরের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানায়।