শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে যে বিবৃতি দিলো আওয়ামী লীগ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ‘কল্পনাপ্রসূত’ বলে দাবি করেছে দলটি। এই মামলাকে ‘অসংবিধানিক, বেআইনি এবং ঘৃণ্য’ আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাতে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে দলের পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়। আওয়ামী লীগ দাবি করেছে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার এখনো জাতির অঙ্গীকার। ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারের অধীনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন প্রণয়ন করা হয়, যার আওতায় মুক্তিযুদ্ধের অপরাধীদের বিচার করা হয়। এই বিচার প্রক্রিয়াকে ‘বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত’ উল্লেখ করে দলটি দাবি করেছে, বর্তমান সরকার এই বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে।
পোস্টে আরো বলা হয়, ‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এবং অবৈধ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা দায়ের করে।’ তারা অভিযোগ করে, এই মামলাটি ‘অসংবিধানিক ও বেআইনি’ এবং আইনের শাসনকে অগ্রাহ্য করে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ আরো দাবি করে, গণহত্যা আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে সংজ্ঞায়িত একটি অপরাধ এবং এটি জাতিসংঘের ১৯৪৮ সালের কনভেনশনের আওতায় বিচার হতে হবে। আওয়ামী লীগের দাবি, ‘জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে যে সন্ত্রাস এবং নৈরাজ্য চালানো হয়েছিল তা গণহত্যার পর্যায়ে পড়ে’। তারা এই হত্যাযজ্ঞ এবং সন্ত্রাসের সঙ্গে শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাকে সরাসরি তুলনা করেছে।
অন্যদিকে, দলটি অভিযোগ করে যে, ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আওতায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, সেখানে ‘প্রহসনমূলকভাবে’ চিফ প্রসিকিউটার নিয়োগ দেয়া হয়েছিল, যা তাদের মতে, ‘জাতির সঙ্গে এক মশকরা’।
আরো পড়ুন: ছাত্রলীগ-যুবলীগের ঝটিকা মিছিল
এদিকে, আওয়ামী লীগ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এই ষড়যন্ত্রমূলক মামলা এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ‘নিন্দিত’ এবং ‘ঘৃণিত’ দাবি করেছে। তারা আরো জানায়, দেশে বিভিন্ন সময় অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক শক্তি তাদের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করেছে, কিন্তু জনগণ সবসময় এসব শক্তিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। দলটি স্পষ্টত: এই ঘটনাকে একটি ‘অসংবিধানিক শক্তির’ প্রয়াস হিসেবে উল্লেখ করেছে এবং দাবি করেছে, জনগণের চাহিদা ও ঐতিহাসিক পটভূমি অনুযায়ী এই ধরনের শক্তিকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করা উচিত।
এই পোস্টের শেষে আওয়ামী লীগ স্লোগান দেয়, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’