জামায়াত নেতাদের সঙ্গে ডেরেক ল’র বৈঠক, যে আলোচনা হলো

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৭ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার ডেরেক ল’র সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর নেতাদের বৈঠক হয়েছে। সোমবার (১১ নভেম্বর) মগবাজারে জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠকটি হয়। বৈঠক করতে ডেরেক লো তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় অফিসে যান। পরে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন।
বৈঠক শেষে জামায়াত নেতারা জানান, বৈঠকে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে অর্থবহ করার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে। ভবিষ্যতে উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা। বৈঠক শেষ সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, সিঙ্গাপুর এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। সিঙ্গাপুর সিটি নামেও পরিচিত এ উন্নত দেশটি ৬৪টি ছোট ছোট দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত। অল্প সময়ের মধ্যেই দেশটি উন্নত রাষ্ট্রের স্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছে। তাদের সঙ্গে অনেক বিষয়ে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন থেকে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম চলছে। আমরা বিশ্বাস করি এ দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। যেটার জন্য দীর্ঘসময় ধরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাজ করছে। কিন্তু বিগত সরকারগুলো সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে। তারা গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি দিলেও এর সুফল জনগণ ভোগ করতে পারেনি। যার ফলে দীর্ঘসময় পর হলেও একটা বড় সফল গণআন্দোলন সংঘটিত হয়েছে, গত ৫ আগস্ট সরকারের পতন ঘটেছে। যেটাকে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা হিসেবে আখ্যায়িত করছি। তবে এটাও এখানে ততক্ষণ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হবে না যতক্ষণ দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।