ডা. জাহিদ
নির্বাচন দ্রুত হলেই দেশের বিশৃঙ্খলা দূর হবে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৯ পিএম

জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ন্যাব) অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। ছবি: ভোরের কাগজ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, অনেকে বলে বিএনপি তাড়াতাড়ি ভোট চায়। বিএনপি সবসময় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে ছিল এবং আছে। তিনি বলেন, বিএনপি সাধারণ মানুষের মনের কথা বুঝে। মানুষ অধীর আগ্রহে বসে আছে— কখন তারা নিজের অধিকার প্রয়োগ করবে। সেজন্য বিএনপি বলছে, যত দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন যত দ্রুত দেয়া হবে, তত দ্রুত বিশৃঙ্খলা দূর হবে। দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ন্যাব) উদ্যোগে আয়োজিত ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, জনগণের প্রকৃত মালিকানা ফেরত দিতে হবে। গণতন্ত্রকে তার সঠিক জায়গায় রাখতে হবে। অর্থাৎ, মানুষ চিন্তা করবে তারা ভোট কাকে দেবে। দেশ শাসন কে করবে— সেটা জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। সংস্কার অবশ্যই হবে। সংস্কার করতে হলে জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হবে। জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হচ্ছে সংবিধান। সবকিছু আপনি-আমি করে ফেললে হবে না। মানুষ কী চায় এবং তাদের মতামতের সুযোগ হচ্ছে ভোট।
আরো পড়ুন: রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কাজ করতে চায় তুরস্ক
ড. জাহিদ বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০১৭ সালে কর্মসূচি দিয়েছিলেন ‘ভিশন ২০৩০’। এরপরে আমাদের নেতা তারেক রহমান ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন। আর ২৩ সালের জুলাই মাসে সব গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলকে নিয়ে ২৭ দফাকে ৩১ দফা করে সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। বিএনপি শুধু নিজের কথা বলে তা নয়। বিএনপি রাষ্ট্রের কথা বলে, আগামী দিনের কথা বলে।
ডা. জাহিদ বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি বিরাজমান, দেশের ভেতর এবং বাইরে থেকে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে দেশের মানুষকে সজাগ থাকতে হবে। দেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে হবে। যারা আমাদের ভাইদেরকে গুম, খুন করেছে— এদেশের প্রচলিত আইনে প্রত্যেকের বিচার করতে হবে।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, এই দেশে আজকে যে নারী শিক্ষা, তার আলোকবর্তিকা যদি বেগম রোকেয়ার পরে কারও কথা বলতে হয়, তিনি হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। এর কারণ হলো, নারী শিক্ষার জন্য প্রথম বই দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। বিনা পয়সায় স্কুল করে দিয়ে পড়ার সুযোগ সৃষ্টি করা, নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও খালেদা জিয়া করেছেন। অর্থাৎ এদেশের যত মঙ্গল এবং যত ভালো কিছু আছে— তার পেছনে জড়িয়ে রয়েছেন শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া ও বিএনপি।
নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ন্যাব) সভাপতি জাহানারা খাতুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামসহ আরো অনেক নেতা উপস্থিত ছিলেন।