কেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আসামিদের খালাস করা হলো, শেখ হাসিনার প্রশ্ন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার বসতেই কারাগার থেকে শতাধিক জঙ্গিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। জঙ্গি, দুষ্কৃতী, অপরাধীদের জেলমুক্ত করে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে তারাও আসলে অপরাধী। কেন একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার আসামিদের বেকসুর খালাস করা হলো, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) লন্ডনের মিলনার রোডে ভার্চুয়াল বক্তৃতায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ৩০ হাজার মিথ্যে মামলা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। ১৫ আগস্টের হত্যাকারীদের বিচার করেছি আমি, তাই আমার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র। বিজয়ের মাসে ‘৭১-এর শহিদদের স্মরণ করেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী। আবেগ ভরা কণ্ঠে হাসিনা বলেন, আজকে ঘরে ঘরে লুটপাট চলছে। দুষ্কৃতীদের শাস্তি হচ্ছে না। কার কাছে বিচার চাইতে যাবে মানুষ! এরা পুলিশকেও মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
শেখ হাসিনা দাবি করেন, তিনি কাউকে খুন করেননি। তবে যারা এখন খুন করছেন, তাদের বিচার একদিন হবে। বাংলাদেশে এখন ‘অরাজকতা’ চলছে। নাগরিকদের কোনো শান্তি নেই সেখানে। তার কথায়, ‘ঘরে শান্তিতে ঘুমানোর উপায় নেই। চুরি, ডাকাতি হচ্ছে। যে কোনো সময় তদন্ত হতে পারে। এই তদন্তের নির্দেশ কে দিচ্ছেন?’
বাংলাদেশের মানুষের এখন ‘ন্যায়বিচার’ চাওয়ার অধিকার নেই বলে দাবি করেন শেখ হাসিনা। সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের দিকেই বার বার আঙুল তুলেছেন তিনি। তার কথায়, ‘নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা মানুষের পাশে দাঁড়াতেন। অথচ এখন বন্যা, ঝড় গেল, কিন্তু তার পরে কেউ মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। আজ জনপ্রতিনিধিরা থাকলে মানুষের পাশে দাঁড়াতেন।’ গত আগাস্ট মাস থেকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হেনস্থা, নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শেখ হাসিনা দাবি করেছেন, সরকারি কর্মীদের এই হেনস্থা বন্ধ করতে হবে। ‘মিথ্যা মামলা’ থেকে রেহাই দিতে হবে। কাজে ফেরাতে হবে।
শেখ হাসিনা দাবি করেন, বাংলাদেশে এখন ‘অরাজকতা’ চলছে। নাগরিকদের কোনো শান্তি নেই সেখানে। তার কথায়, ঘরে শান্তিতে ঘুমানোর উপায় নেই। চুরি, ডাকাতি হচ্ছে। যে কোনো সময় তদন্ত হতে পারে। এই তদন্তের নির্দেশ কে দিচ্ছেন?’ বাংলাদেশের মানুষের এখন ‘ন্যায়বিচার’ চাওয়ার অধিকার নেই।