সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন জানিয়েছেন,  গত ১৫ বছর মুসলমান মারলে তার কোনো বিচার হতো না। মুসলমান মানেই জঙ্গি বলা হতো।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত খেলাফত মজলিসের সাধারণ পরিষদের দ্বাদশ অধিবেশনে এ কথা জানান তিনি।

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, পুলিশের একটি শাখা বই ছাপাতে মুসলমানকে ধরে নিয়ে বলত, তারা নিষিদ্ধ বইয়ের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। মূলত তারা পশ্চিমা বিশ্ব ও ভারতকে খুশি করতে এসব করত। আসলে কোনো বই নিষিদ্ধ করা হয়নি। এ সংক্রান্ত অনেক মামলা পরিচালনা করেছি। ইসলাম ও জাতীয়তাবাদী শক্তি ঐক্যবদ্ধ হলে ইনশাআল্লাহ সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে পারব। সংস্কারের পাশাপাশি জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য একটি অবাধ-নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেন, আমরা অনেক ইসলামী সংগঠন অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করে চলেছি। আমরা সব ইসলামী সংগঠন আগামীর বাংলাদেশে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। জাতীয় নেতারা কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করলে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ঐক্যবদ্ধভাবে তা পালনে প্রস্তুত থাকতে হবে।

আধিপত্যবাদকে রুখে দিতে হবে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলনসহ সবাইকে বলব- ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসন করা চলবে না। বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতের কারো কারণে যদি আমাদের জাতির ইস্পাত কঠিন ঐক্যে ফাটল ধরে তাহলে আপনাদেরকে জাতির কাছে জবাব দিতে হবে। আমরা জবাব নিয়েই ছাড়ব।

নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মূসা বিন ইজহার বলেন, সব ইসলামী শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামলে নতুন বাংলাদেশে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে ইসলামী শাসনব্যবস্থার প্রসববেদনা শুরু হয়েছে।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, আমরা যে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থান দেখেছি তাতে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। যে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বন্ধ হয়েছিল তখন মাদরাসার শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছিল। তা না হলে শেখ হাসিনার পতন হতো না।