বিমানবন্দরের পথে খালেদা জিয়া, সড়কে বিপুল নেতাকর্মী

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুলশানের বাসভবন থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তার বিদেশযাত্রাকে ঘিরে গুলশান থেকে বিমানবন্দর অভিমুখের সড়কে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী জড়ো হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেল থেকেই ঢাকার রাস্তায় সমবেত হতে শুরু করেন দলটির কর্মী সমর্থকরা। রাত ১০টা নাগাদ একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনের পথে রওনা হওয়ার কথা খালেদা জিয়ার। কাতার আমিরের তরফে এই রয়্যাল অ্যাম্বুলেন্সটি পাঠানো হয়েছে ।
এর আগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক নোটিশে জানানো হয়েছিল, রাত ৮টায় গুলশানের বাসা থেকে রওনা দিয়ে খালেদা জিয়া ৯টায় বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। তবে তাকে বহনকারী গাড়িটিকে হাজারো নেতাকর্মীর ভিড় ঠেলে এগোতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে।
বিমানবন্দরে পৌঁছে ইমিগ্রেশনের সব কাজ শেষ করবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। রাত ১০টার দিকে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন তিনি।
ইতোমধ্যে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে দোহা হয়ে লন্ডনে পৌঁছাবেন তিনি। পরে সরাসরি ক্লিনিকে ভর্তি হবে। পথিমধ্যে দীর্ঘ ৭ বছর পর ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হবে।
নেত্রীকে বিদায় জানাতে গুলশান থেকে বিমানবন্দর সড়কে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। পথে পথে জড়ো হয়েছেন হাজারো নেতাকর্মী। সুস্থ হয়ে দেশের রাজনীতিতে ফিরবেন বেগম জিয়া এমন প্রত্যাশা তাদের।
দলের ভেতরে ও বাইরে খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া নিয়ে 'স্বস্তি' রয়েছে। পাশাপাশি 'উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা'ও আছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ভারতে চলে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবার লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া। দুই শীর্ষ নেতার 'অনুপস্থিতি' কেমন পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে সেটি নিয়ে নানা বিচার বিশ্লেষণ চলছে রাজনৈতিক নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে।