‘না’ ভোট প্রচলন, ইভিএম বাদ, নির্বাচনে স্বচ্ছতা আনতে ১৫০ সুপারিশ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি : সংগৃহীত
ভেঙে পড়া নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক করার পাশাপাশি সব অংশীজনকে দায়বদ্ধতার মধ্যে আনার লক্ষ্যে প্রায় ১৫০ সুপারিশ রেখেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এ সুপারিশের অন্যতম লক্ষ্য- নির্বাচন কমিশনের (ইসি) স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। তাদের ক্ষমতায়িত করা। একই সঙ্গে তাদের দায়বদ্ধ করা। রাষ্ট্র সংস্কারের সুনির্দিষ্ট সুপারিশ নিয়ে এদিন তেজগাঁওয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ছাড়াও প্রতিবেদন পেশ করেছে সংবিধান, পুলিশ ও দুদক সংস্কার কমিশন। প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদনে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন নির্বাচন কমিশনের জনবল নিয়োগের জন্য আলাদা নির্বাচন সার্ভিস গঠনের সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে ইসি সচিব নিয়োগের ক্ষমতা সরকারের পরিবর্তে নির্বাচন কমিশনের কাছে রাখাসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছে। এতে বলা হয়- নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে একটি আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। আইনটির উদ্দেশ্য হলো- ভবিষ্যতে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে এবং নাগরিক সমাজের অর্থবহ অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে যোগ্য ও সুনামসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের নিয়োগ এবং কমিশনারদের দায়িত্ব, স্বার্থের দ্ব›দ্ব, ক্ষমতা ও দায়বদ্ধতা প্রতিষ্ঠা করা। বিকল্প : একটি স্থায়ী ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহে নিয়োগ করা যেতে পারে, যার জন্য অবশ্য সংবিধান সংশোধন করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতার বিষয়ে বলা হয়েছে- (ক) নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন স্থগিত বা বাতিল এবং পুনর্নির্বাচনের ক্ষমতা দেয়া। (খ) নির্বাচন কমিশনের সচিব নিয়োগের দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে কমিশনের ওপর ন্যস্ত করা। (গ) নির্বাচনকালীন নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে নির্বাহী বিভাগের পক্ষ থেকে এমন কার্যক্রম নেয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নেয়ার বিধান করা। (ঘ) ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের মতো বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, যা বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে লিখিতভাবে যুক্তিসংগত কারণ প্রদর্শন করে, সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে, ৯০ দিনের জন্য নির্বাচন স্থগিত করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কাছে মতামত চাওয়ার বিধান করা।
নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব বিষয়ে বলা হয়েছে- (ক) জাতীয় নির্বাচনের পর নির্বাচন কমিশন গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে, ফলাফল গেজেটে প্রকাশের পূর্বে বিশ্বাসযোগ্যতা এবং গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে ঘোষণা দেয়ার বিধান করা। (খ) নির্বাচনের সুষ্ঠুতা, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কিত নির্বাচন কমিশনের ঘোষণায় নির্বাচনে অংশ নেয়া কোনো রাজনৈতিক দল সংক্ষুব্ধ হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল বা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে অভিযোগ করার সুযোগ সৃষ্টির বিধান করা। কমিশন/আদালত সর্বোচ্চ ৭ কার্যদিবসের মধ্যে উক্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি করার বিধান করা। (গ) স্থানীয় সরকারের নির্বাচন অনুষ্ঠানের পুরো দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের কাছে ন্যস্ত করা। (ঘ) ভোটার শিক্ষা ও সচেতনতা এবং গবেষণা কার্যক্রমকে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা। এসব কার্যক্রমে শিক্ষার্থী ও বেসরকারি সংস্থার সহায়তা নেয়া। (ঙ) কমিশন দ্বারা প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ও তাদের নির্বাচনী ও পোলিং এজেন্টদের সুরক্ষা দেয়ার বিধান করা। (চ) আউয়াল কমিশন ২০২৩ সালে যেসব বিতর্কিত রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দিয়েছে, যথাযথ তদন্তসাপেক্ষে সেগুলোর নিবন্ধন বাতিল করা।
নির্বাচন কমিশনের দায়বদ্ধতা ও শান্তির বিষয়ে সুপারিশগুলো হলো- (ক) নির্বাচন কমিশনের আইনি, আর্থিক ও প্রশাসনিক প্রস্তাব কোনো মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে সংসদের প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষের (যদি না হয়, তাহলে বিদ্যমান সংসদের অনুরূপ) সংসদীয় কমিটির কাছে উপস্থাপনের বিধান করা। (খ) নির্বাচন কমিশনের মেয়াদকালে কমিশনারদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অসদাচরণ বা অসামর্থ্যরে অভিযোগ উঠলে তা সংবিধানের ১১৮ ও ৯৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে সুরাহা করার বিদ্যমান বিধান কার্যকর করা। (গ) সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে এবং শপথ ভঙ্গ করলে কমিশনারদের মেয়াদ-পরবর্তী সময়ে উত্থাপিত অভিযোগ প্রস্তাবিত সংসদীয় কমিটি তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর বিধান করা। (ঘ) আরপিওর ৯০(ক) ধারা সংশোধনপূর্বক নির্বাচনী অপরাধের মামলা দায়েরের সময়সীমা রহিত করা।
রিটার্নিং কর্মকর্তা/সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ : নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা। এ দায়িত্ব পালনের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক কমিশনের কর্মকর্তা পাওয়া না গেলে প্রশাসনসহ অন্য ক্যাডার থেকে নিয়োগ করা।
নির্বাচন কমিশনের ব্যয় : প্রশিক্ষণ ভাতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেটদের ভাতার যথার্থতা ও পরিমাণ পর্যালোচনাপূর্বক পুনর্নির্ধারণ ও বাতিল করা।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন তথা সরকারের নির্বাচনসংক্রান্ত ব্যয় ১৯৭৩ সালে ছিল প্রায় ৩ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালে এসে দাঁড়িয়েছে মোট ১ হাজার ৯২৭ কোটি টাকা।
নির্বাচন কমিশনের কার্যপদ্ধতি : (ক) একটি যৌথ সত্তা হিসেবে দৈনন্দিন রুটিন কার্যক্রম ব্যতীত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলিসহ নির্বাচন কমিশনের সব সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে বা সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে কমিশনের সভায় নেয়ার বিধান করা। (খ) নির্বাচনসংক্রান্ত সব কার্যক্রম কমিশনের যৌথ সিদ্ধান্তে পরিচালিত করার বিধান করা।
নির্বাচনী ব্যবস্থা : নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহারের বিধান বাতিল করা। নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষা বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করা। কোনো আসনে মোট ভোটারের ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে পুনর্নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচন বন্ধ করা, রাজনৈতিক দলগুলোকে সৎ, যোগ্য এবং ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী দেয়া নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় নির্বাচনে ‘না ভোট’-এর বিধান প্রবর্তন করা। নির্বাচনে ‘না ভোট’ বিজয়ী হলে সেই নির্বাচন বাতিল করা এবং পুনর্নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাতিল করা নির্বাচনে কোনো প্রার্থী নতুন নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারার বিধান করা।
হলফনামা : প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রত্যেক দল তার প্রার্থীদের জন্য প্রত্যয়নপত্রের পরিবর্তে দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা অনুরূপ পদধারী ব্যক্তির হলফনামা জমা দেয়ার বিধান করা, যাতে মনোনীত প্রার্থীর নামের পাশাপাশি মনোনয়ন বাণিজ্য না হওয়ার ও দলীয় প্যানেল থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ থাকে। পরবর্তী নির্বাচনের আগে যে কোনো সময় নির্বাচন কমিশন নির্বাচিত ব্যক্তির হলফনামা যাচাই-বাছাই করতে এবং মিথ্যা তথ্য বা গোপন তথ্য পেলে তার নির্বাচন বাতিল করতে পারে।
নির্বাচনী ব্যয় : সংসদীয় আসনের ভোটারপ্রতি ১০ টাকা হিসেবে নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণের বিধান করা। সব নির্বাচনী ব্যয় ব্যাংকিং ব্যবস্থা বা আর্থিক প্রযুক্তির (যেমন- বিকাশ, রকেট) মাধ্যমে পরিচালনা করা। নির্বাচনী আসনভিত্তিক নির্বাচনী ব্যয় নির্বাচন কমিশন দ্বারা নিবিড়ভাবে নজরদারি করা। প্রার্থী এবং দলের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাবের রিটার্নের নিরীক্ষা এবং হিসাবে অসংগতির জন্য শাস্তির বিধান করা।
মনোনয়নপত্র : বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আইনি হেফাজতে থাকা ব্যতীত সব প্রার্থীর সশরীরে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা তৈরি করা। নির্বাচনী তফসিলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় বাড়ানো, যাতে হলফনামা যাচাই-বাছাই করা ও আপিল নিষ্পত্তির জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় কমানো, যাতে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় সাশ্রয় হয়। প্রার্থিতা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করা। এ জন্য আদালতের হস্তক্ষেপের বিষয়টি শুধু ‘কোরাম নন-জুডিস’ ও ‘ম্যালিস ইন ল’-এর ক্ষেত্রে সীমিত করা। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ৫ বছরের আয়কর রিটার্নের কপি জমা দেয়ার বিধান করা। নির্বাচনী তফসিলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় বাড়ানো, যাতে হলফনামা যাচাই-বাছাই করা ও আপিল নিষ্পত্তির জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় কমানো, যাতে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় সাশ্রয় হয়।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ/গণমাধ্যম : নিশ্চল পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেয়া, যাতে পর্যবেক্ষকরা সারাদিন কেন্দ্রে থাকতে পারেন, কিন্তু ভোটকক্ষে সার্বক্ষণিকভাবে নয়। পক্ষপাতদুষ্ট ভুয়া পর্যবেক্ষক নিয়োগ বন্ধ করা। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ মেনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণার বিধান করা। ১৯৯০ সালের তিন জোটের রূপরেখার মতো রাজনৈতিক দলের জন্য আচরণবিধি প্রণয়ন করা।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা ‘ভেঙে’ গিয়েছে, এটাকে জোড়া লাগানোর জন্য এই সংস্কার কমিশনের প্রচেষ্টা। নির্বাচন ব্যবস্থায় যেন স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত হয় সে চেষ্টাই করার কথা তুলে ধরেছি। একই সঙ্গে সব অংশীজনের দায়বদ্ধতা যেন প্রতিষ্ঠিত হয় এবং নির্বাচনটা যেন অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়, ভোটারের ভোট দেয়ার অধিকার যেন প্রতিষ্ঠিত হয় সে জন্য আমরা কাজ করেছি।
তিনি বলেন, গ্রাম থেকে অনেক মানুষ এসেছেন কথা বলতে। দুয়েকজন বলেছেন, সংসদ ভবনের এ ইমারতে যেন কুৎসিত লোক আসতে না পারে। আমরা মনে করি- এটা ছিল আমাদের প্রতি ম্যান্ডেট। ১৮টি উল্লেখযোগ্য জায়গায় ১৫০টির মতো সুপারিশ করেছি। এ সুপারিশের অন্যতম লক্ষ্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। তাদের ক্ষমতায়িত করা। একই সঙ্গে তাদের দায়বদ্ধ করা। দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হলে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করা যাবে, সে আশা করাও দুরাশা।
বহু বছর ধরে প্রবাসীরা ভোটাধিকার বঞ্চিত- এ বিষয়টি তুলে ধরে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, তাদের যেন ভোটাধিকার দেয়া যায়, তা-ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সুপারিশে। প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতার বিষয়ে কিছু ‘অভিনব’ প্রস্তাবও করা হয়েছে।
নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন বিষয়ে তিনি বলেন, এখন যে ব্যবস্থা রয়েছে তা আলঙ্কারিক। তা অসম্মানিত করে। আমরা ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার প্রস্তাব করেছি। নির্বাচনী অপরাধের বিচার সুসংহত করে তাদের যেন দায়বদ্ধ করা যায়, সে বিষয়ে সুপারিশ করেছি।
২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের ভোটের কথা উল্লেখ করে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বিশেষত গত তিনটি নির্বাচনে যারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে নির্বাসনে ফেলে দিয়েছে- কর্মকর্তা শুধু নয়, আমাদের কমিশন সদস্যরা, তাদের ব্যাপারে তদন্ত করার, বিশেষত ২০১৮ সালের মধ্যরাতে অভূতপূর্ব কাণ্ড ঘটেছে সে ব্যাপারে তদন্ত করে তাদের বিচারের আওতায়, দায়বদ্ধতার আওতায় আনা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী ও কার্যকর করার ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়ে আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। আরো দুই-একটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কিছু আইন রয়েছে যার সংস্কার করা দরকার। এরই মধ্যে কিছু গুছিয়ে আনা হয়েছে। এজন্য সময় দিতে হবে।