‘স্বৈরাচারের মাথা পালিয়ে গেলেও কিছু অবশিষ্ট রয়ে গেছে’

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম

তারেক রহমান
স্বৈরাচারের মাথা পালিয়ে গেলেও তার কিছু অবশিষ্ট রয়ে গেছে। তারা বিভিন্নভাবে মাথাচাড়া দেয়ার চেষ্টা করছে। আমরা তাদের লক্ষ্য হাসিল হতে দিতে পারি না। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার আব্বাস উদ্দিন কলেজ মাঠে সম্মেলনে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তারেক রহমান বলেন, গত ১৫ বছর জনগণের ভোট দেয়ার কোনো উপায় ছিল না। ভোট দেয়ার ক্ষমতা অস্ত্রের বলে কেড়ে নেয়া হয়েছিল। অস্ত্র দিয়ে কখনো ডামি নির্বাচন, কখনো ভোটারহীন নির্বাচন আমরা দেখেছি। উন্নয়নের নামে লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। কোনো রকম জবাবদিহিতা ছিল না বলেই দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন ও বিচার ব্যবস্থাকে আবার পুনর্গঠন করতে হবে। রাষ্ট্রকাঠামোর এ পুনর্গঠন প্রক্রিয়া যত দ্রুত শুরু করা যাবে তত দ্রুত আমরা উন্নত করতে পারব।
এর আগে সম্মেলন উপলক্ষে সকাল থেকেই জেলা, উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থলে এসে যোগ দেন। দুপুরে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু।
এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সিরাজের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় বিএনপি'র অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কবির হোসেন ভূঞা, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া।
উল্লেখ্য, গত ২৮ ডিসেম্বর ও ১৮ জানুয়ারি জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা দিয়ে সম্মেলন আয়োজন করার অভিযোগে এক পক্ষ সম্মেলনের বিরোধিতা করে। সেই কারণে দুটি তারিখই পরিবর্তন করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। পরে তারেক রহমানের হস্তক্ষেপে বরফ গলতে শুরু করে দু' পক্ষের মধ্যে। অবশেষে দু’পক্ষের অংশগ্রহণে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে কাউন্সিল অধিবেশন হয়নি। এ ব্যাপারে তারেক রহমান বলেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে পরে দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।