‘চলতি মাসেই আসছে ছাত্রদের নতুন বড় দল’

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসেই ছাত্রদের নেতৃত্বে একটি নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হবে বলে জানিয়েছেন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী। বিকাল ৩টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতসহ ২৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নেন।
নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী জানান, আসন্ন রাজনৈতিক দলের মূল লড়াই হবে নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য। আমাদের রাজনৈতিক লাইন হবে- বাংলাদেশে নতুন সংবিধান রচনার জন্য লড়াই। আমরা ফ্যাসিবাদ থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করেছি এবং আর যেন কোনো ফ্যাসিবাদ এ দেশে না আসে, সেজন্য ফ্যাসিবাদের কফিনে শেষ পেরেক মারার প্রতিজ্ঞা করছি।
নাসীরুদ্দীন বলেন, আমরা বলেছি, জুলাই চাটার্ড হবে এবং এটি একটি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রণীত হবে, যাতে ভবিষ্যতের সব সরকার এই চাটার্ড অনুযায়ী তাদের শেষ কর্মদিবস পর্যন্ত পরিচালিত হয়। বাংলাদেশের জনগণের মুক্তি নিহিত থাকবে যদি আমরা একটি নতুন সংবিধান উপহার দিতে পারি। কারণ ১৯৭২ সালের সংবিধানে বহুদলীয় গণতন্ত্রের সুযোগ নেই, যা আজকের রাজনৈতিক ঐক্য ও শান্তি বিনষ্টের মূল কারণ।
নাসীরুদ্দীন আরো বলেন, আমরা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে প্রস্তাব করেছি, গণপরিষদ নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসাথে করা যায় কিনা। একইসঙ্গে আমরা সংস্কার প্রক্রিয়াগুলোও একসাথে শুরু করার পক্ষে কথা বলেছি।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে নাসীরুদ্দীন বলেন, আমরা কীভাবে একটি উন্মুক্ত ও দৃশ্যমান বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে জনগণের সামনে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডের হিসাব তুলে ধরা যায়, সে বিষয়ে কথা বলেছি।
নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের শেষ মুক্তির লড়াই হবে একটি গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন সংবিধান উপহার দেয়া। একমাত্র একটি নতুন সংবিধানই দেশের ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করতে পারে।
বৈঠক থেকে বের হয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমি আজকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জায়গা থেকে আমি বলেছি যে, নৌকা ডুবে গেছে। সেটি আর বাংলাদেশে কখনই আসবে না। আওয়ামী লীগ এটার চ্যাপ্টার এন্ড। ৫ অগাস্ট অর্থাৎ ছাত্র- নাগরিক সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছে যে, আওয়ামী লীগ পরবর্তিত বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক।
আমরা আজকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল রাজনৈতিক দলগুলো আসে। সবার মতামতের ভিত্তিতে আমরা সবাই একটা জায়গায় একমত পৌঁছেছি যে, পরবর্তিত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ হচ্ছে অপ্রাসঙ্গিক। আপনারা দেখেছেন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দল যেভাবে হারিয়ে যায়, অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায়, ঠিক আওয়ামী লীগও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে।
আমরা এখন আহ্বান জানিয়েছি, সরকার উদ্যোগ নিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় যেন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে এবং পরবর্তী কোনো রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যেন আওয়ামী লীগ ফাংশনাল না হতে পারে, সেই প্রস্তাব আমরা দিয়েছি।
আরো পড়ুন: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় হাসিনাকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রশ্ন