সিআইপি নির্বাচিত হলেন আমিরাত প্রবাসী ওবায়দুল হক

মাহাফুজুল হক চৌধুরী, আবুধাবি (ইউএই) থেকে
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৭ পিএম

সিআইপি আমিরাত প্রবাসী ওবায়দুল হক
বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক রেমিট্যান্স প্রেরণের কারণে কমার্শিয়াল ইম্পর্ট্যান্ট পার্সন (সিআইপি) নির্বাচিত হয়েছেন আরব আমিরাত প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ওবায়দুল হক চৌধুরী।
তার বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার বরমা ইউনিয়নে। তার বাবার নাম মরহুম আবদুর রহিম চৌধুরী ও মায়ের নাম জারিয়া বেগম।
গত ২৪ জানুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমানে মোমেনিন ওমেন্স এসোসিয়েশনে ৬১ জন আমিরাত প্রবাসী সিআইপিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২০২৪ সালের জন্য সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী অভিবাসী বাংলাদেশিদের সিআইপি-এনআরবি ক্যাটাগরিতে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ওবায়দুল হক চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন আমিরাতের বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ, দুবাই কন্সূলেট জেনারেল মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান ও মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আজমানের শাসকের ছেলে শেখ মোহাম্মদ সাঈদ রশিদ হুমাইদ।
ওবায়দুল হক চৌধুরী আরব আমিরাতে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আমিরাতে ঠিকাদারি ব্যবসায়ী হিসেবে ২০০৯ সালে নিজেকে আত্নপ্রকাশ করেন তিনি। প্রথমে স্বল্প পরিসরে ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করলেও বর্তমানে আমিরাতে একাধিক লাইসেন্স ও গাড়ির ওয়ার্কশপের মালিক তিনি।
তার কন্ট্রাক্টশন কোম্পানিতে একশোরও বেশি কর্মচারী রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আরব আমিরাতের ইলেকট্রিক্যাল মেকানিক্যাল ও প্লাম্বিং ওয়ার্ক সেক্টরে দক্ষ জনশক্তি ও প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত এক ব্যবসায়ী হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের কাছে দৃষ্টিগোচর হয়।
বাংলাদেশে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশাল এক ভূমিকা রাখেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশিদের জন্য আরব আমিরাতের ভিসা বন্ধ থাকায় অনেক প্রতিকূলতার মাঝেও নিজেকে টিকিয়ে রেখেছেন তিনি।
ভিসা বন্ধ প্রসঙ্গে তিনি জানান, আরব আমিরাতের ভিসা বন্ধ হওয়ায় নতুন কাউকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে পারছেন না।