ভাংচুরের ভিডিও করতে এসে ধরা খেল ছাত্রলীগ নেতা, পুলিশে দিলো ছাত্র-জনতা

পলাশ হোসেন, পাবনা
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:২২ পিএম

ছাত্রলীগ নেতা কাজী তুষার
গত ৪ আগস্ট পাবনা শহরে ছাত্র-জনতার ওপর সরাসরি গুলিবর্ষণকারী পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খানের বাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের সময় পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজী তুষারকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধা ৭টার দিকে শহরের শালগাড়িয়ার জেনারেল হাসপাতাল রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক তুষার শালগাড়িয়ার শাপলা প্লাষ্টিক মোড় এলাকার কাজী সুলতানের ছেলে। তিনি পাবনা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে শহরের গোডাউন মোড়ের শিক্ষার্থীদের মিছিলে সরাসরি গুলি করে দুজন শিক্ষার্থী হত্যাকারী আবু সাঈদের বাড়ির গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন ছাত্র-জনতা। ব্যাপক ভাংচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এরপর সন্ধা সাড়ে ৬টার দিকে উৎসুক জনতা হিসেবে গোপনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ দেখতে ও ছবি তুলতে আসে কাজী তুষার।
এ সময় ছাত্র-জনতার একজন তাকে দেখে চিনে ফেলে। ছাত্র-জনতা ধাওয়া দিলে তিনি পাশের জালাল মেমোরিয়াল হাসপাতালে ঢুকে পরে। সেখানে ছাত্র-জনতা ঘিরে ধরে। বিষয়টি বেগতিক দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে সেখান থেকে বের করে দিলে ছাত্র-জনতা ব্যাপক গণপিটুনি দেয়। এরপর সে দৌঁড়ে পাশের পশ্চিম শালগাড়িয়া জামে মসজিদে ঢুকে পরলে পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে জনগণের থেকে আমরা আহতাবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসছি। বৈষম্যবিরোধী মামলা আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে পাবনা কারাগারে পাঠানো হবে।