স্বপ্নপূরণ করতে পেরে রোমাঞ্চিত মার্তিনেজ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:৫১ এএম

ছবি: এএফপি
বিশ্বকাপ ফাইনাল যেন ফাইনালের মতোই নাটক রচনা করে গেল। কল্পনাকেও হার মানালো আজকের ম্যাচের সকল নাটকীয়তা। ১২০ মিনিটের নাটকে বারবার বদলে যাচ্ছিল যেন মাঠের চিত্রনাট্য।কিছু সময় আর্জেন্টিনার পালে হাওয়া কিছু সময় ফ্রান্সের দিকে চলে যাওয়া।
মেসির পেনাল্টি আর ডি মারিয়ার দুর্দান্ত গোলে যে ম্যাচ একসময় একপেশে মনে হচ্ছিল, ঠিক সেই ম্যাচই ম্যাচই দ্বিতীয়ার্ধে এসে পুরো বদলে গেল।
দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রান্স পেল পেনাল্টি থেকে গোল। পরক্ষণেই এমবাপ্পে আর্জেন্টাইনা সমর্থকদের হৃদয় ভেঙে সমতায় ফেরালেন ফ্রান্সকে। অতিরিক্ত সময়ে আবারও মেসি ত্রাণকর্তার রূপে ফিরে আসলেন, এগিয়ে দিলেন দলকে। কিন্তু কয়েক মিনিটের বিপক্ষে আরেক পেনাল্টি পায় এমবাপ্পে। সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি এই ফরাসি তারকা। গোল করে ফাইনালের মহারণে হ্যাটট্রিকই করে বসলেন এই তারকা। আবারো ম্যাচ ৩-৩ সমতায়।
সর্বকালের সেরা এক বিশ্বকাপ ফাইনাল, রূপ নিল টাইব্রেকারে।
আর এই টাইব্রেকারের জয়ের নায়ক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। পেনাল্টিতে দুর্দান্ত সব কিক ঠেকিয়ে জয়ের নায়ক তো তিনিই। আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ শিরোপার নাগাল পাইয়ে দিলেন তো মার্তিনেজই।
এই মার্তিনেজই খেলার একেবারে শেষ মুহূর্তে রান্দাল কোলো মুয়ানিকে গোল থেকে বঞ্চিত করে অধরাকে ধরার সুযোগ করে দিলেন।
মার্তিনেজ খেলা শেষে বললেন, ম্যাচটায় আমরা অনেক সংগ্রাম করেছি। অনেক ভুগেছি। দুটি ভুলে ফ্রান্স খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনল। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। এরপর আমি আমার কাজটা ঠিকঠাক করতে পেরেছি। আমি সেটিই করতে পেরেছি, যে স্বপ্ন আমি দেখেছি।
নিজের স্বপ্নপূরণে রোমাঞ্চিত মার্তিনেজ বলেন, এর চেয়ে দুর্দান্তভাবে আমি আমার বিশ্বকাপের স্বপ্ন পূরণ করতে পারতাম না। পেনাল্টির সময় আমি খুব শান্ত থেকে, মাথা ঠান্ডা রেখেই নিজের কাজটা করেছি।