কাতারে বিশ্বকাপ মিশন শেষে নিজ দেশে ফিরেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা দল। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ২টা ২০মিনিটে দেশটির রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে পৌঁছায় মেসিরা।
জানা যায়, দোহা থেকে রোম হয়ে আর্জেন্টিনায় পৌঁছায় মেসির দল। দেশটির বিমানবন্দরের বাহিরে লাখো সমর্থকের ঢল নেমেছে।
রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলে আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসি পান তার অধরা বিশ্বকাপ ট্রফি।
জয় উদযাপন করতে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমেছে। আর্জেন্টিনার রাজধানী দেখলে মনে হবে যেন মানুষের ঝড় শুরু হয়েছে।
বিশ্বকাপ ফাইনাল শেষ কাতারেই একপ্রস্থ উদযাপন করেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী খেলোয়াড়রা। কাতারে উপস্থিত প্রায় ৮০ হাজার আর্জেন্টাইনের সঙ্গে ছাদখোলা বাসে ট্রফি নিয়ে প্যারেড করেন মেসি-ডি মারিয়ারা।

এবার নিজ দেশে ছাদখোলা বাসে সোনালী শিরোপা নিয়ে প্যারেড করবেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
১৯৭৮ সালে মারিও কেম্পেস, ১৯৮৬ সালে দিয়েগো ম্যারাডোনার সৌজন্যে উৎসবে মেতে ওঠার সুযোগ পেয়েছিলো পুরো আর্জেন্টিনা। এরপর একটি প্রজন্ম কেটে গেলো। কেটে গেলো ৩টি যুগ (৩৬ বছর)। বিশ্বকাপের দেখা নেই আর্জেন্টাইনদের। ১৯৮৬ সালের পর, ২০২২ সালের আগে আরও দু’বার ফাইনালে উঠেছিলো তারা। ১৯৯০ বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে হেরে টানা দুই শিরোপা জয় বঞ্চিত হলো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা। ২০১৪ সালেও সেই জার্মানি।
মারিও গোৎসের এক গোলেই সব আনন্দ মাটি হয়ে যায় মেসিদের। অপেক্ষার অবসান আর আক্ষেপ-আফসোসে পোড়ার সময় শেষ হলো ১৮ ডিসেম্বর রোববার রাতে, কাতারের দোহায় লুসাইল সিটি স্টেডিয়ামে। শ্বাসরূদ্ধকর ফাইনাল শেষে বিজয়ের হাতি মেসিদের মুখে।
বিজয়ের হাসি পুরো আর্জেন্টিনার মুখে। পৌনে ৫ কোটি আর্জেন্টাইনের ঘুম হারাম হয়ে গেছে গত কয়েকদিন। রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের ঐতিহাসিক মনুমেন্ট অবলিসকো ডি বুয়েন্স আয়ার্সের চত্ত্বরে লক্ষাধিক মানুষ জড়ো হয়ে খেলা দেখেছে জায়ান্ট স্ক্রিনে।
মাথায় বাধা আর্জেন্টিনার পতাকা, শরীরে জার্সি, গায়ে ট্যাটু, ঢাক-ঢোল পতাকা উড়িয়ে তারা জমা হয় প্লাজা ডি লা রিপাবলিকায় অবস্থিত ঐতিহাসিক অবলিসকো ডি বুয়েন্স আয়ার্সের সামনে।