ক্রিকেটে ফিক্সিংয়ের আখড়া ভারতে: আইসিসি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২০, ০৫:৩৪ পিএম

ছবি: ইন্টারনেট
ক্রিকেটের জমজমাট টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হলেই জুয়াড়িদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। বড় বড় টুর্নামেন্ট ঘিরে জুয়াড়িদের রমরমা ব্যবসা শুরু হয়। পাশাপাশি জুয়াড়িদের ধরতে সর্বদা সজাগ ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা (আইসিসি)
তবে এই ম্যাচ ফিক্সিংয়ের বিষয়ে ভারতীয় বাজিকর বা জুয়াড়িরা এগিয়ে আছে। এই বিষয়ে আইসিসি জানিয়েছে, ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিং বা ম্যাচ পাতানোর যত ঘটনা রয়েছে, এর বেশিরভাগের সঙ্গেই জড়িত ভারত।
ভারতের ঘরোয়া জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) শুরু থেকেই রয়েছে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের চাপা অভিযোগ। জমজমাট এ টুর্নামেন্টের বেশিরভাগ ম্যাচই নাকি পাতানো- এমন অভিযোগ শোনা যায় প্রতিবছরই। এর মধ্যে ২০১৩ সালে প্রমাণিতও হয়েছিল এ অভিযোগ। তখন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ভেবেছিল হয়তো এরপর থেকে ভারতের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের দৌরাত্ম্য কমবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন।
শনিবার( ২০ জুন) স্পোর্টস ল এন্ড পলিসির ওপর করা এক ওয়েবিনারে আইসিসির ম্যাচ ফিক্সিং তদন্তের সমন্বয়কারী স্টিভ রিচার্ডসন বলেছেন, ‘আমাদের হাতে এখন ৫০টির মতো ম্যাচ ফিক্সিংয়ের তদন্ত চলছে। এর বেশিরভাগেরই ভারতের সঙ্গে যোগসুত্রতা রয়েছে। তাই বলে যে, সব খেলোয়াড়রা এর সঙ্গে জড়িত এমনটা নয়। বরং যারা ফিক্সিং সাজায় অর্থাৎ বাজিকর, তাদের বেশিরভাগ ভারতীয়- এমনটাই জানিয়েছেন রিচার্ডসন। খেলাটির জন্য এটি খুবই বিপদজনক হিসেবেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে রিচার্ডসন বলেন, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সবশেষ পর্যায়ে গিয়ে আসে খেলোয়াড়রা। সমস্যা হচ্ছে যারা এই ফিক্সিংটা পরিচালনা করে, যারা খেলোয়াড়দের টাকা দেয় মাঠের বাইরে বসে। আমি এখনই অন্তত ৮ জনের নাম ভারতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে দিতে পারব, যারা প্রতিনিয়ত খেলোয়াড়দের সঙ্গে ফিক্সিংয়ের বিষয়ে যোগাযোগ করে।
ক্রিকেট ম্যাচ ঘিরে জুয়াড়িদের দাপট নতুন কিছু নয়। নানা ছলে ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তারা খেলোয়াড়দের ম্যাচ পাতানোর কাজে বাধ্য করে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে ফিক্সিংকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা ছাড়া পথ নেই বলে জানিয়েছেন রিচার্ডসন। তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা প্রথম দেশ হিসেবে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের বিরুদ্ধে আইন করেছে। যে কারণে এখন লঙ্কান ক্রিকেট আগের চেয়ে সুরক্ষিত। অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে আমরা আগেই সতর্ক। ভারতে এমন কোন আইন না থাকায়, আকসু এক হাত বাধা অবস্থায় কাজ করছে।