কুমিল্লাকে হারিয়ে বিপিএলের মুকুট বরিশালের

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৩ পিএম

বিপিএল ফাইনালে আজ শুক্রবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে উল্লাসে মাতোয়ারা ফরচুন বরিশালের খেলোয়াড়রা। ভোরের কাগজ
বিপিএলের দশম আসরের ফাইনালে শুক্রবার (১ মার্চ) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মত শিরোপা জিতেছে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল। ১৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল।
জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজ। উদ্বোধনী জুটিতে ৮ ওভার খেলে এই দুজন তুলেন ৭৬ রান। মঈন আলির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩ চার ও ৩ ছয়ে তামিম খেলেন ২৬ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস। আউট হওয়ার ওভারেও মঈন আলিকে তুলোধোনা করেছিলেন তামিম। এই ইনিংসের ফলেই এবারের আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের স্থানটা নিশ্চিত করেছেন এই ড্যাশিং ওপেনার। ১৫ ম্যাচ খেলে তামিমের রান ৪৯২। তার পরের স্থানেই আছেন এবারের বিপিএলে দুর্দান্ত খেলা কুমিল্লার ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। ১৪ ম্যাচ খেলে তার সংগ্রহ ৪৬২ রান।
তামিমের আউটের পর দ্রুতই আউট হন ওপেনিং এ ব্যাট করতে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ। মঈন আলীর বলে চার্লসের ক্যাচ হওয়ার আগে ১ চার ও ২ ছয়ে ২৬ বলে তিনি করেন ২৯ রান। তামিম এবং মিরাজ সাজঘরে ফেরার পর তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিম ও কাইল মার্য়াস জুটি বেধে ৫৯ রান করেন। মুশফিক ১৮ বলে ১৩ রান করে আউট হন। এর পর মায়ার্স ফিরেন ৩০ বলে ৪৬ রান করে। ডেভিড মিলার ৮ এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
আজ ম্যাচ শুরুর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শুক্রবার বিপিএলের দশম আসরের ফাইনাল শুরুর আগমুহূর্তে মিরপুরে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন দুই দলের ক্রিকেটার, মাঠে আগত দর্শকসহ স্টেডিয়ামে উপস্থিত সবাই।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় কুমিল্লা। ইনিংসের পঞ্চম বলে কাইল মায়ার্সকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফাইন লেগে ধরা পড়েন সুনিল নারাইন। এই ক্যারিবিয়ান ওপেনার ৪ বলে ৫ রানের বেশি করতে পারেননি।
নারাইন দ্রুত ফেরার পর তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন লিটন দাস। তবে হৃদয় উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ইনফর্ম এই ব্যাটার ১০ বলে ১৫ রান করে ফিরেন সাজঘরে।
হৃদয় ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটনও। অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ১২ বলে ১৬ রান। চারে নেমে জনসন চার্লস আশা দেখালেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৫ রানে থামেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার।
এদিন সুবিধা করতে পারেননি মঈন আলিও। এই ইংলিশ ব্যাটার দলকে বিপদে ফেলে সাজঘরে ফিরেন ৬ বলে ৩ রান করে। ৭৯ রানে টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে যখন ধুকছে কুমিল্লা তখন দলের হাল ধরেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও জাকের আলি অনিক।
অঙ্কনের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৩৮ রান। অঙ্কন ফেরার পর শেষদিকে ঝড় তোলেন আন্দ্রে রাসেল। এই হার্ডহিটার ১৪ বলে করেন অপরাজিত ২৭ রান। হাঁকান ৪টি ছক্কা। বাকি ৩ রান দৌড়ে নেন এই ক্যারিবীয়। এরমধ্যে ১৯তম ওভারেই তুলেন ২১ রান। কুমিল্লার সংগ্রহটা আরও বেশি হতে পারতো। যদি ডেথ ওভারে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন দারুণ বোলিং না করলে। বরিশালের এই ডানহাতি পেসারের কৌশলী বলে সুবিধা করতে পারেননি রাসেল। ইনিংসের শেষ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়েছেন সাইফুদ্দিন। অপরাজিত ২০ রানের ইনিংসে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন জাকের আলি। বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট তুলে নেন জেমস ফুলা।