টানা চতুর্থ ফাইনালে রিজওয়ানের মুলতান

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৪, ১২:২৭ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) গত চার আসরের পরিসংখ্যান বলছে মুলতান সুলতানস মানেই যেন ফাইনাল অবধারিত। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) টুর্নামেন্টের প্রথম কোয়ালিফায়ারে বাবর আজমের পেশোয়ার জালমিকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো ফাইনালে পৌঁছে গেছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল।
চলতি আসরে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন বাবর। প্রায় প্রতি ম্যাচেই রান পাচ্ছেন। এক সেঞ্চুরি ও পাঁচ হাফ সেঞ্চুরিতে চলতি আসরে ইতোমধ্যে ৫০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে গেছেন। এ ছাড়া চলতি বছর প্রথম ব্যাটার হিসেবে এক হাজার রানের মালিকও তিনি। টুর্নামেন্টের প্রথম কোয়ালিফায়ারে অধিনায়কের ব্যাট হাসলেও বড় ব্যবধানে হেরে গেছে দল। বাকি ব্যাটাররাও এদিন মুখ থুবড়ে পড়েছে।
করাচিতে কোয়ালিফায়ার টস জিতে ব্যাট করতে নেমেই ইনিংসের প্রথম ওভারেই হোঁচট খায় পেশোয়ার। ডেভিড উইলির শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন উদ্বোধনী ব্যাটার সায়েম আইয়ুব। অপরপ্রান্তে বাবর আজম ধরে খেললেও স্ট্রাইকরেট খুব একটা বাড়াতে পারেননি। পরের দিকের ব্যাটাররাও ব্যর্থ হয়েছেন।
নির্ধারিত ২০ ওভারে দেড়শো রানের গণ্ডিও টপকাতে ব্যর্থ হয় বাবররা। ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানের নড়বড়ে সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ বলে ৪৬ রান করেন বাবর। পেশোয়ার অধিনায়কের ইনিংসে ৫টি চারের মার থাকলেও মোটেও টি-টোয়েন্টি সুলভ ছিলো না।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের একাদশে আসতে পারে পরিবর্তন
এ ছাড়া মোহাম্মদ হ্যারিস ২২, টম কোহলির-ক্যাডমোর ২৪, রোভম্যান পাওয়েল ১২, পল ওয়াল্টার ১৪ ও লিউড উডরা ১৪ রান যোগ করেন। মুলতানের ক্রিস জর্ডন ও উসামা মীর দুটি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন ডেভিড উইলি, মোহাম্মদ আলি ও আব্বাস আফ্রিদি।
জবাবে খেলতে নেমে মুলতান সুলতানস ১৮ দশমিক ৩ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৪৭ রান সংগ্রহ করে নেয়। অর্থাৎ, ৯ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে ফাইনালের টিকিট কাটে মুলতান। এ নিয়ে টানা চতুর্থবার পাকিস্তান সুপার লিগের ফাইনালে উঠল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
হাতের নাগালে থাকা টার্গেট তাড়া করতে নেমে মুলতানের ওপেনার ইয়াসির খান দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি করেন। ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৭ বলে ৫৪ রান করে মাঠ ছাড়েন। ২৮ বলে ৩৬ রান করেন উসমান খান। ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৮ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন ইফতিখার আহমেদ। ৪ ওভার বল করে ১৬ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচসেরা হন উসামা মীর।
হারলেও এখনই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে হচ্ছে না বাবরদের। তারা দ্বিতীয় এলিমিনেটরে মাঠে নামবে প্রথম এলিমিনেটরের জয়ী দলের বিপক্ষে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) প্রথম এলিমিনেটরে একে অপরের মুখোমুখি হবে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স।