রাদারফোর্ডের ঝড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লড়াকু সংগ্রহ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৪, ০৯:১৬ এএম

শেরফেইন রাদারফোর্ড। ছবি : সংগৃহীত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২৬তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কিউই বোলিংয়ের সামনে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ৩০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। ১৮ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহটা বেশ মামুলিই লাগছিল।
অবশ্য এবারের বিশ্বকাপটাই হয়েছে লো-স্কোরিং ম্যাচের বিশ্বকাপ। সে তুলনায় ১৮ ওভারে পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১১২ রানের সংগ্রহকে খুব একটা মন্দও বলা চলে না। কিন্তু এরপরেই শুরু হলো শেরফেইন রাদারফোর্ডের ঝড়। রাদারফোর্ডের দুর্দান্ত এক হাফ সেঞ্চুরিতে ১৪৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এই ম্যাচে জিতলে সুপার এইট নিশ্চিত করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের সামনে আশা টিকিয়ে থাকার লড়াই।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) এমন সমীকরণের ম্যাচে ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টস জিতে উইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই নিউজিল্যান্ডের বোলারদের চাপের মুখে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই ওপেনার ব্রেন্ডন কিং ও জনসন চার্লস দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই বিদায় নেন। শুরুতে কোনো রান না করেই বোল্টের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন চার্লস।
আরো পড়ুন : উড়তে থাকা যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে সুপার এইটে ভারত
এরপর ক্রিজে আসেন নিকোলাস পুরান। তবে ১২ বলে ৩ চারে ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। পঞ্চম ওভারে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন রোস্টন চেজ। রভম্যান পাওয়েলকে নিয়ে দলকে উদ্ধারের চেষ্টা চালান ব্রেন্ডন কিং। কিন্তু তিনি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারছিলেন না। এর মধ্যেই ৫ বলে ১ রান করে টিম সাউদির বলে আত্মহুতি দেন দলনেতা পাওয়েল।
একপ্রান্তে আগলে চড়াও হতে চেষ্টা করছিলেন কিং। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বোলিংয়ের কোনো জবাব জানা ছিল না তার কাছে। ১ ছক্কায় ১২ বলে ৯ রান করে তিনি বিদায় নিতেই চাপে পড়ে ক্যারিবীয়রা। এরপর আকেল হোসেনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন রাদারফোর্ড। দু’জন মিলে ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। ৪৯ রানেই ৫ উইকেট হারিইয়ে বসা ক্যারিবীয়রা যখন একশ’র আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায়, তখন দলকে আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিয়ে ১৭ বলে ১৫ রান করে বিদায় নেন আকেল। আন্দ্রে রাসেল এসে ৭ বলে ১৪ রানের ক্যামিও খেলে ফিরে যান। রোমারিও শেফার্ড ১৩ রানে সাজঘরের পথ ধরেন।
আলজেরি জোসেফকে নিয়ে রাদারফোর্ড দলকে একশ রানের ঘর পার করেন। কিন্তু রাদারফোর্ডকে সঙ্গ দিতে পারলেন না তিনিও। সমান ৬ বলে ৬ রান করে বোল্টের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান জোসেফ। বাকি পথটা কেবল রাদারফোর্ডের গল্প।
১৯তম ওভারে ড্যারিল মিচেলের ওপর মারাত্মক চড়াও হন রাদারফোর্ড। এক ওভারেই তিন ছক্কায় তুলে নেন ১৯ রান। সেই সঙ্গে তুলে নেন দলের মান বাঁচানো ফিফটি। তাকে কেবল সঙ্গটা দিয়ে গেছেন গুদাকেশ মোতি। এরপরই বিশতম ওভারে নিয়ে আসা হলো স্পিনার মিচেল স্যান্টনার। সেই ওভারে এলো আরো ১৮ রান। ৩৭ রানের দুই ওভারেই উইন্ডিজের স্কোর গিয়েছে ১৪৯ পর্যন্ত। রাদারফোর্ড ৩৯ বলে করলেন ৬৮ রান। এবারের বিশ্বকাপের সাপেক্ষে এমন স্কোরে সন্তুষ্ট হতেই পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।