টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাবরদের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৪, ০৩:৫৮ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কাছে হেরে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান দল। এরপর থেকে সমালোচনার জড় বয়ে যাচ্ছে তাদের ওপর। সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ভক্ত-সমর্থক কেউই বাদ যাচ্ছেন না। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার ফিক্সিংয়ের অভিযোগও তুলেছে বাবর আজমদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পিসিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠায় তা প্রমাণ দিতেও বলেছেন তিনি।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তান জানায়, কিছু ইউটিউবার ও সাংবাদিক নানা অভিযোগ তুলছেন বাবরদের বিরুদ্ধে। ভারতীয় গণমাধ্যম সেগুলো ফলাও করে প্রচার করছে। তবে পাকিস্তানের দলীয় সূত্র জানান, যুক্তরাষ্ট্রে কোনো ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে এ ধরনের নেতিবাচক কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া ক্রিকেটার, কোচ থেকে শুরু করে প্রতিযোগী দলগুলোর প্রতিটি সদস্যের ওপর নজরদারি চালায় আইসিসির অ্যান্টি-করাপশন ইউনিট।
আরো পড়ুন : পাকিস্তান বিদায় নেয়ার পর যে কারণে দেশে ফেরেননি বাবর-আমিররা
পাকিস্তানের ক্রিকেটে এর আগেও ফিক্সিংয়ের মতো ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হওয়ার নজির রয়েছে। তবে বর্তমান দলে থাকা অধিনায়ক বাবর আজম, শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ রিজওয়ান কিংবা শাদাব খানদের মতো ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে কোনো বিতর্কিত কাজে জড়ানোর রেকর্ড নেই।
এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই এবার মুখ খুললেন পিসিবির উর্ধ্বতনরা। নাম প্রকাশ না করে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সব ধরনের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানি। সীমার মধ্যে থেকে কেউ সমালোচনা করলে সেটি গ্রহণযোগ্য এবং তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু যখন ভিত্তিহীন তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই ম্যাচ-ফিক্সিংয়ের মতো গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়, সেটি কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘যখন ক্রিকেটারদের ব্যাপারে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই, তখন কেন অনুসন্ধানের মতো বিষয় আসছে? যিনি অভিযোগ তুলেছেন, তার উচিৎ প্রমাণ হাজির করা। আমরা আমাদের আইনি বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছি এ ধরনের অভিযোগের বিষয়ে যেন তারা নোটিশ জারি করে এবং প্রমাণ চাওয়া হয়। যদি কোনো প্রমাণ না পাওয়া যায়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানহানির ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে। ছয় মাসের মধ্যে এ ধরনের অপরাধের শাস্তি নিশ্চিতের নিশ্চয়তা রয়েছে পাঞ্জাবের আইনে।’