শেষের রোমাঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ১২:০৩ এএম

ছবি: ইএসপিএন ক্রিকইনফো
ফাইনাল হলো ফাইনালের মতোই। শেষ পর্যন্ত সুতোয় দুলছিল ম্যাচ। কোন দল জিতবে তা বলা যাচ্ছিল না। তবে শেষের রোমাঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলো ভারত। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি শিরোপা জিতলো তারা।
১৭৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুর্দান্ত আউটসুইংয়ে রেজা হেনড্রিকসকে বোল্ড করেন জসপ্রিত বুমরাহ। ওয়ানডাউনে নেমে অর্শদীপ সিংয়ের স্লোয়ারে পেছনে ক্যাচ দেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। পরে কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে দলের হাল ধরেন ত্রিস্তান স্টাবস। তাতে চাপ কাটিয়ে ওঠে প্রোটিয়ারা। ঠিক সেই মুহূর্তে বিদায় নেন স্টাবস। তিনি করেন ৩১ রান।
তাতেও রানের গতি ঠিক থাকে। এরপর দলকে এগিয়ে নেন হেনরিক ক্লাসেন। ক্রিজে এসে ঝড় তোলেন তিনি। তাতে বনবন করে ঘুরতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকার রানের চাকা। এই অবস্থায় ভুল শট খেলে অর্শদীপের বলে পাভিলিয়নের পথ ধরেন ডি কক। ফেরার আগে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩১ বলে ৩৯ রান করেন তিনি।
তবু তাণ্ডব চালাতে থাকেন ক্লাসেন। ইতোমধ্যে ফিফটি তুলে নেন তিনি। ফলে জয়ের সবাস পেতে থাকে প্রোটিয়ারা। এ অবস্থায় হার্দিক পান্ডিয়ার শিকার হন ক্লাসেন। এর আগে ২৭ বলে ৫ ছক্কার বিপরীতে ২ চারে ৫২ রানের দানবীয় ইনিংস খেলেন তিনি। সেই রেশ না কাটতেই জানসেনকে ফিরিয়ে দেন বুমরাহ।
এতে ম্যাচ সুতোয় ঝুলে যায়। কোন দল জিতবে তা বলা মুশকিল হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে শেষের রোমাঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারায় ভারত। দলের হয়ে পান্ডিয়া তুলে নেন ৩ উইকেট। আর অর্শদীপ ও বুমরাহ লাভ করেন ২টি করে উইকেট।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। শুরুটাও শুভ করে তারা। তবে কেশভ মহারাজের বলে পর পর ফেরেন রোহিত ও রিশভ পন্ত। সেই জের না কাটতেই কাগিসো রাবাদার শিকার হন সূর্যকুমার যাদব। ফলে চাপে পড়ে ভারত। এ পরিস্থিতিতে অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে জুটি বাঁধেন কোহলি। একপর্যায়ে দারুণ মেলবন্ধন গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে।
ফলে ধীরে ধীরে চাপ কাটিয়ে ওঠে ভারত। এতে রানের গতিও বাড়ে। দুজনেই হাত খুলে খেলতে থাকেন। উভয়ই ফিফটির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ পথ হারান অক্ষর। কুইন্টন ডি ককের অসাধারণ থ্রোতে ৪৭ রান করে ফেরেন তিনি। পরে কোহলিকে সঙ্গ দেন শিবম দুবে। স্বাভাবিকভাবেই লড়াইয়ের পুঁজির পথে এগিয়ে যায় ভারত। পথিমধ্যে ফিফটি তুলে নেন কোহলি। এরপর প্রোটিয়া বোলারদের ওপর আরও চড়াও হন তিনি।
একপর্যায়ে খেই হারিয়ে ফেলেন কোহলি। মার্কো জানসেনের শিকার হন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ৫৯ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৭৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন ব্যাটিং মাস্টার। আসরের শুরু থেকে ব্যর্থ হলেও ফাইনালে জ্বলে ওঠেন কিং কোহরি। পরক্ষণে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন দুবে ও রবীন্দ্র জাদেজা। এতে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৬ রান সংগ্রহ করে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আনরিক নরকিয়া ও মহারাজ ২টি করে উইকেট লাভ করেন।