কোন মন্ত্রে এমিলিয়ানো গোলবারের নিচে এতো অপ্রতিরোধ্য?

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৭:১৭ পিএম
বড় বাঁচা বেঁচে গেছে আর্জেন্টিনা। যে ইকুয়েডর গত দুই দশকে কোপা আমেরিকায় কোনো লাতিন দলকেই হারাতে পারেনি, তারাই আজ বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের প্রায় ছিটকেই ফেলেছিল! কিন্তু লিওনেল স্কালোনির দল হোঁচট খেলেও শেষ পর্যন্ত ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আর সেটা হয়েছে এমিলিয়ানো মার্তিনেজের বীরত্বে। বিশ্বকাপের ফাইনালের পর আরো একবার মেসিদের ত্রাতা হয়ে উঠলেন বাজপাখি খ্যাত এই গোলকিপার।
টাইব্রেকারে লিওনেল মেসির শট মিস হওয়ার পর যে চাপ ছিল, সেটি একাই সামলেছে তার বিশ্বস্ত হাত। শুটআউটে চারটি শট নিয়েছে ইকুয়েডর, প্রথম দুটিই রুখে দিয়েছেন মার্তিনেজ। মেসি বাদে দলের অন্যরা বল জালে পাঠালে আর্জেন্টিনা ম্যাচটি টাইব্রেকারে জিতেছে ৪-২ ব্যবধানে। যে জয় কোপা আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সেমিফাইনালে জায়গা করে দিয়েছে।
খেলা শেষে আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক মার্তিনেজ বলেছেন, টুর্নামেন্টের এ পর্যায়েই বাড়ি যেতে চাননি তিনি। এই দল আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার মতো বলেও মনে করেন অ্যাস্টন ভিলা গোলকিপার।
আর্জেন্টিনায় ‘দিবু’ নামে পরিচিত মার্তিনেজ ইকুয়েডর ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে বলেছেন, ‘ওদের (সতীর্থদের) বলেছি, আমি বাড়ি যেতে প্রস্তুত নই। আমার সমর্থকদের অনুভব করি। আমার পরিবারও কাছেই আছে। এগুলো জীবনের বিশেষ মুহূর্ত। এই দল আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার মতো। সব মিলিয়েই ব্যাপারটি রোমাঞ্চকর।’
আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত চারবার টাইব্রেকার শুটআউটে দাঁড়িয়েছেন মার্তিনেজ। জিতেছেন চারটিতেই। এর মধ্যে মোট ১৮টি শট হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে, ৯টিতেই প্রতিপক্ষ গোল করতে পারেনি। একটি ছিল পোস্টের বাইরে, বাকি আটটি মার্তিনেজ রুখে দিয়েছেন।
প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব অ্যাস্টন ভিলায় খেলা ৩১ বছর বয়সী এই গোলকিপার নিজের মূল উদ্দেশ্য পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ‘আমি এমন কিছুর জন্যই কাজ করি। প্রতিদিন অনুশীলনে আমি ৫০০–এর মতো শটের মুখোমুখি হই। চেষ্টা করি সব সময়ই ভালো অবস্থানে থাকতে। আমার দেশের এটা প্রাপ্য।কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে ভেনেজুয়েলা বা কানাডার বিপক্ষে খেলবে মার্তিনেজের আর্জেন্টিনা।
সবচেয়ে বড় কথা এমিলিয়ানোর নিবেদন। যিনি কথা রাখতে জানেন। নিজের ক্লাব অ্যাস্টন ভিলাকে কথা দিয়ে তুলে নেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। মেসির জন্য যুদ্ধে যাওয়ার অঙ্গীকার করে ছিনিয়ে আনেন কোপা আমেরিকা কিংবা বিশ্বকাপের মত প্রেস্টিজিয়াস ট্রফি। ব্রাজিলে যেদিন পুলিশ লাঠিচার্জ করেছিল আর্জেন্টিনার সমর্থকদের ওপর, সেদিন এমি মার্তিনেজ এগিয়ে যান পুলিশের লাঠি থামাতে। সেদিন বুঝিয়েছিলেন গোল না, দরকার পড়লে সমর্থকদেরও তিনি বাঁচাতে জানেন।