মার্টিনেজের গোলে আর্জেন্টিনার লিড

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৪, ১০:০১ এএম

মার্টিনেজ
বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন কোপা আমেরিকার চলতি আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা লাউতারো মার্টিনেজ। এসেই ভেলকি দেখালেন। দুর্দান্ত এক গোলে ঘোচালেন আর্জেন্টিনার গোলখরা। তার গোলেই লিড নিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের ১১১তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে জিওভানি লো সেলসোর থ্রুয়ে লাউতারো মার্টিনেজকে খুঁজে নেন। সেখান থেকে ঠাণ্ডা মাথায় লক্ষ্যভেদ করেন লাউতারো।
এর আগে, নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় কোনো গোল হয়নি। যদিও বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল কলম্বিয়া। প্রতিপক্ষের চেয়ে কম হলে বেশ কটি ভালো সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনাও। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। এতে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচ।
বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে শুরু হওয়া ফাইনালে বল দখলের লড়াইয়ে সমানে সমান লড়ে কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের প্রথম মিনিটে দুর্দান্ত এক সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। মন্টিয়েলের ক্রস থেকে পা ছোঁয়ালেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাননি আলভারেজ।
ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে প্রথমবার আক্রমণে উঠে কলম্বিয়ানরা। তবে লুইস ডিয়াজের মাটি কামড়ানো শট ঠেকিয়ে দেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। পরের মিনিটেই বারের পাশ দিয়ে চলে যায় রদ্রিগেজের বাড়নো বলে করডোভা শট।
এরপর ম্যাচের ১৩তম মিনিটে ফের আক্রমণে যায় কলম্বিয়া। রদ্রিগেজের বাড়ানো বলে কুয়েস্টার হেড সহজেই মুঠোবন্দী করেন আর্জেন্টাইন কিপার।
ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন লারমা। তবে আর্জেন্টাইন বাজপাখির হাত ছুঁয়ে মাঠের বাইরে চলে যায় বল। ম্যাচের বাকি সময়ে আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারায় শেষমেষ গোলশূন্য বিরতি নিয়েই মাঠ ছাড়ে দল দুটি।
বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৪৮তম মিনিটে দারুণ সুযোগ পেয়েছিল মেসিরা। ডি-বক্সের ভেতর বল পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি ম্যাক অ্যালিস্টার।
এর ১০ মিনিট পর ফের সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। তবে ডি মারিয়ার শট ঠান্ডা মাথায় ঠেকিয়ে দেন কলম্বিয়ান গোলরক্ষক।
ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় আকাশি-নীল শিবির। চোট পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন লিওনেল মেসি।
মেসির পরিবর্তে নেমে গঞ্জালেসও সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে তাগলিয়াফিকোর অফসাইডে সেই সুযোগে কাজে আসেনি। এতে বাতিল হয়ে যায় আর্জেন্টিনার গোল।
ম্যাচের ৮০ মিনিটে ফের সুযোগ মিস করেন গঞ্জালেস। বক্সের ভেতর বল পেয়েও হতাশ করেন তিনি।
মেসিশূন্য আর্জেন্টিনাকে এরপর বেশ অচেনাই মনে হয়েছে। তবে দমে না গিয়ে কলম্বিয়ার রক্ষণকে ব্যস্ত রাখে তারা। শেষমেশ নির্ধারিত সময়ে কোনো গোল না হওয়ায় গোলশূন্য সমতায় অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ফাইনাল।