ক্রিকেটারদের কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে ২১-২৫ আগস্ট প্রথম টেস্ট এবং ৩০ আগস্ট-৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় টেস্ট করাচিতে অনুষ্ঠিত হবে। চলতি ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ৮টি টেস্ট খেলবে। পাকিস্তান সিরিজের পর ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে শান্তরা। গতকাল ভোরে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা ছিল ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা। কিন্তু সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বাধ্য হয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অনুশীলন বাতিল করতে হয়। তবে মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্ট্রেংথ পরীক্ষা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে দৌড় পরীক্ষা করতে না পারলেও সুযোগমতো সেটিও হবে বলে জানিয়েছেন ফিজিও বায়েজীদুল ইসলাম। মূলত পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্ট ম্যাচ সিরিজের ক্রিকেটাররাই অংশ নিয়েছেন ফিটনেস পরীক্ষায়।
এরপর বায়েজীদ বলেন, ‘আজ থেকেই শুরু হবে অনুশীলন। স্কিল ক্যাম্প আজ থেকে কাজ করবে, রানিং টেস্ট পরবর্তীতে আবহাওয়ার ওপর আর ক্রিকেটারদের উপস্থিত থাকার ওপর নির্ভর করবে। অনেক প্লেয়ার ‘এ’ টিমে যাবেন, জাতীয় দলের প্রোগ্রামে। তো সময়টা বের করা হলে আবার প্ল্যান করা হবে।’
‘বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আমরা তো একটা ফিটনেস টেস্ট করে তারপর গিয়েছিলাম। আর তার ফলোআপ পরীক্ষা ছিল। ফলোআফ টেস্টিংয়ে আমাদের রানিং টেস্ট ছিল। কিছু স্ট্রেংথ টেস্ট ছিল, তো রানিং টেস্ট আবহাওয়ার কারণে করতে পারিনি। স্ট্রেংথ টেস্টটা করেছি সবাই মিলে- যারা যারা ছিল তারা সবাই টেস্টে ছিল। গতকাল ১৪ জন টেস্ট দিয়েছেন সব মিলিয়ে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর সিডনিতে পরিবারের কাছে যান হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ১৭ জুলাই ঢাকায় ফেরার কথা ছিল। কিন্তু বিমানের টিকেট জটিলতায় আসতে পারেননি। অবশেষে গত পরশু ঢাকায় এসেছেন এবং যোগ দিয়েছেন দলের সঙ্গে। ১৪ আগস্ট পর্যন্ত মিরপুরেই অনুশীলন করবে টিম বাংলাদেশ। ১৬ আগস্ট দেশ ছাড়বে শান্তর দল।
কাঁধের চোটের কারণে বোলিং করতে গিয়ে সমস্যায় ভুগছিলেন তাসকিন আহমেদ। আর টেস্টে লম্বা সময় ধরে বোলিং করতে হয়, যার ফলে আরো বেশি চাপ নিতে হয় লাল বলে। এ কারণে অনেক দিন ধরে টেস্ট ক্রিকেট থেকে দূরে আছেন তিনি। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজ দিয়ে আবারো সাদা পোশাকে ফিরতে পারেন তাসকিন।
আসন্ন এই সিরিজের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গতকাল ক্রিকেটাররা স্ট্রেংথ পরীক্ষা দিয়েছেন। যেখানে ছিলেন তাসকিনও। এই পেসারকে নিয়ে বিসিবির ফিজিও বায়জেদুল ইসলাম বলেন, ‘তাসকিনের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা হয়েছে। কিন্তু বিসিবির সিদ্ধান্ত তো এভাবে আসবে না।’
‘তাসকিন এতদিন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের জন্য খেলাধুলা করেছে। ওই সময় লম্বা স্পেলে বল করা হয় না। ওর কাঁধের একটা ব্যাপার ছিল। আমরা বিশ্বকাপের সময় সেটা আবারো দেখিয়ে নিয়ে এসেছি’ যোগ করেন তিনি।
তাসকিনের টেস্ট খেলা নিয়ে এই ফিজিও বলেছেন, ‘তাসকিনের যে ড্যামেজ ছিল সেটার কোনো পরিবর্তন হয়নি। এটা নিয়ে কিন্তু একটা প্লেয়ার খেলতে পারে। এটা নিয়ে সে যদি রিহ্যাভ ও ওয়ার্কআউটগুলো করে তাহলে তাসকিন সার্ভাইভ করে যেতে পারবে।’
‘তাসকিন অবশ্যই অ্যাভেইলেবল আছে। টেস্টে লম্বা সময় বল করতে হয় তাই ধীরে ধীরে বিল্ডআপ করে খেলতে হয়। সে লম্বা সময় টি-টোয়েন্টিতে খেলছে। এই চেষ্টাটা করে যদি ভালো মনে হয় তাহলে টেস্ট খেলতে পারবে।’ যোগ করবেন তিনি।
ক্রিকেটার, বিশেষ করে ব্যাটারদের জন্য মনোবিদ নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। হাথুরুসিংহে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে কেন ব্যাটারদের পারফরম্যান্স নি¤œমুখী সে প্রশ্নও রেখেছেন সাবেক এই প্রধান নির্বাচক। পাকিস্তান সিরিজের আগে ক্রিকেটারদের নিয়ে ৩ সপ্তাহের স্কিল ক্যাম্প করা উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি।
জাতীয় দলের সবচেয়ে বড় সমস্যার জায়গা ব্যাটিং। ফরম্যাট যা-ই হোক গত এক বছর ধরে লিটন-শান্তরা ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ। হাথুরুর ম্যাজিক কাজে আসছে না, ব্যাটিং পরামর্শক ডেভিড হেম্পের কাজও প্রশ্নবিদ্ধ। কী করলে মিলবে সমাধান জানে না বিসিবি।
সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনের চোখে দায়টা টিম ম্যানেজমেন্টের। হঠাৎ কেন ব্যাটারদের দুর্দশা তা খুঁজে বের করার কার্যত কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ক্রিকেটারদের মেন্টাল স্কিলেও নজর দেয়া উচিত বলে মনে করেন বিসিবি প্রোগ্রামের প্রধান সমন্বয়ক। ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে শিগগির মনোবিদ নিয়োগের পরামর্শ মিনহাজুল আবেদীনের।