চা-বিরতির আগে সাদমানকে হারাল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০৪:৫২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় সেশনের শেষটা ভালো কাটলো না বাংলাদেশের। সেশনের একদম শেষ বলে আউট হয়েছেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার থেকে ৭ রান দূরে থাকতে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি । ফেরার আগে ১৮৩ বলে ৯৩ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। শেষপর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান তুলে চা বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ।
২ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশনে শুরু করেছিল টাইগাররা। এর মধ্যে সাদমান আগেই ফিফটি ছুঁয়ে ছিলেন। মধ্যাহ্নবিরতির পর মুমিনুলও ক্যারিয়ারের ১৯তম ফিফটি পান পেয়ে যান। তবে ফিফটির পর বেশি দূর এগোতে পারেননি সাবেক এই অধিনায়ক। দলীয় ১৪৭ রানের মাথায় ৭৬ বলে ৫০ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।
এরপর সাদমানের সঙ্গে যোগ দেন মুশফিকুর রহিম। তাদের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ভালোভাবেই বাড়তে থাকে দলীয় পুঁজি। দারুণ কার্যকরী ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সাদমান। অন্যপ্রান্তে তাকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন মুশি। তবে চা-বিরতির ঠিক শেষমুহূর্তে নার্ভাস নাইনটিজে কাটা পড়েন সাদমান। ১৮৩ বলে ৯৩ রানে ফেরেন এই ওপেনার। শেষ পর্যন্ত ৬৬ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯৯ রান তুলে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। ৩৮ বলে ১৫ রানে ক্রিজে টিকে আছেন মুশফিক।
পাকিস্তানের হয়ে খুররাম শাহজাদ দুটি উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া নাসিম শাহ এবং মোহাম্মদ আলি একটি করে উইকেট শিকার করেছেন।
এর আগে, বিনা উইকেটে ২৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে লাল-সবুজেরা। আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটারের জুটিটা তখনো অত বড় হইয়নি। তবে দলীয় ৩১ রানের মাথায় থামে ওপেনিং জুটি। ৫৮ বলে ১২ রানে সাজঘরে ফেরেন জাকির।
এরপর সাদমানের সঙ্গে যোগ দেন শান্ত। তবে ক্রিজে থিতু হতে পারেননি টাইগার দলপতি। দলীয় ৫৩ রানের মাথায় ৪২ বলে ১৬ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন টপ-অর্ডার এই ব্যাটার।
শান্তর বিদায়ের পর সাদমানের সঙ্গে দলের হাল ধরেন মুমিনুল। কার্যকরী ব্যাটিংয়ে প্রতিরোধ গড়েন মুমিনুল-সাদমান। এরপর লাঞ্চে যাওয়ার ঠিক আগের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন সাদমান। শেষমেশ ৪৮ ওভারে ২ উইকেটে ১৩৪ রান নিয়ে মধ্যাহ্নবিরতিতে যায় লাল-সবুজেরা।
এর আগে, দ্বিতীয় দিনে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৪৮ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। রিজওয়ান ২৩৯ বলে ১৭১ রানে এবং শাহিন শাহ আফ্রিদি ২৪ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন। এ ছাড়া সৌদ শাকিল করেন ১৪১ রান।
লাল-সবুজের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন হাসান ও শরিফুল। এ ছাড়া সাকিব এবং মেহেদীর শিকার একটি করে উইকেট।