ফিফা প্রীতি ম্যাচ
আজও জিততে মরিয়া জামালরা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি: বাফুফে
ভুটানের বিপক্ষে ২টি প্রীতি ম্যাচের প্রথমটিতে ১-০ গোলে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। থিম্পুতে সেদিন মোরসালিনের একমাত্র গোলটিই ছিল বাংলাদেশের জয়ের ভরসা। ভুটান সফরের শেষ ম্যাচে আজ স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাঠে নামবে জামাল ভূঁইয়ারা। সফরের আগেই জামালদের প্রত্যয় ছিল দুটি ম্যাচই জিতে ফেরা। সেই ধারাবাহিকতায় আজকের ম্যাচেও জয়ের লক্ষ্যে অনড় হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। দুটি ম্যাচ জিতলে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করবে বাংলাদেশ। ফলে আসন্ন এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে সুবিধাজনক গ্রুপে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৮৪ নাম্বারে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। ভুটান বাংলাদেশ থেকে দুই ধাপ এগিয়ে অবস্থান করছে ১৮২ নম্বরে।
আজ সন্ধ্যা ৬টায় ভুটানের থিম্পুর চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ভুটানের বিপক্ষে এই পর্যন্ত ১৫ ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশের জয় ১২টি, ড্র দুটি ও হার একটি। এর মধ্যে ২০১৬ সালে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে থিম্পুর মাঠে হেরে বাংলাদেশ টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিল। সেই একই মাঠে হচ্ছে এবারের প্রীতি ম্যাচগুলো। মাঠটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উঁচুতে অবস্থান করায় শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হয় খেলোয়াড়দের। ২০১৬ সালে সেই মাঠে হেরে যাওয়ার দায় অনেকটাই উচ্চতার উপর বর্তায়। তবে সেই একই মাঠে এবার প্রথম ম্যাচটি জিতে যায় জামাল-তপুরা। ধারণা করা উচ্চতার সঙ্গে অনেকটাই নিজেদের মানিয়ে নিয়েছেন জামাল ভূঁইয়ারা।
২০১৬ সালে চ্যাংলিমিথাংয়ের টার্ফেই এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ৩-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। ওই হারে প্রায় দুই বছর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে দূরে ছিল বাংলাদেশ। টিম ম্যানেজার আমের খান জানালেন, অতীতের সেই জড়তা কেটে গেছে প্রথম ম্যাচের জয়ে। তিনি বলেন, ‘সবার মধ্যে একটা টেনশন কাজ করছিল, প্রথম ম্যাচ, অনেক দিন পর খেলা, ভুটানের এ মাঠে আগের একটা অভিজ্ঞতা ছিল, যেটায় আমরা ভালো ফল করতে পারিনি। সেখান থেকে সব দুঃশ্চিন্তা দূর করে একটা গোল দিয়ে যে ধরে রাখতে পেরেছি, সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
পঞ্চম মিনিটে করা মোরসালিনের গোলটি আগলে রেখে প্রথম প্রীতি ম্যাচে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। ওই জয়ে খেলোয়াড়দের মানসিক শক্তির সঙ্গে আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে বলে মনে করেন তপু। তপু জানান, ‘আমাদের যে লক্ষ্য ছিল, কোচের যে দর্শন ছিল, আমার মনে হয় আমাদের টিমওয়ার্ক ভালো ছিল এবং সেটা আমরা প্রয়োগ করতে পেরেছি (প্রথম প্রীতি ম্যাচে)। দেখুন, আমরা অনেক পরিশ্রম করেছি। আমরা সবচেয়ে বেশি উপকার পেয়েছি এখানে সাত দিন আগে আসায়। আবহাওয়ার সঙ্গে পুরোপুরি মানিয়ে নিতে পেরেছি।
পরিকল্পনা মোতাবেক খেলতে পেরেছি। আমাদের প্রথম ম্যাচটা যদি দেখেন, আমরা কোনো তাড়াহুড়ো করিনি। আমার মনে হয়, আমাদের জয়ের জন্য এটা বড় ভূমিকা রেখেছিল।’ দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচেও জয়ের ধারায় থাকতে চান তপু। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ভুটানের উচ্চতা, ঠাণ্ডা- এসব প্রতিকূল কন্ডিশন দলের লক্ষ্য পূরণের পথে অন্তরায় হতে পারবে না, দৃঢ় কণ্ঠেই বললেন অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার। তপু জানান, ‘আমাদের এখন জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এরই মধ্যে এখানে আমরা মানিয়ে নিয়েছি। প্রথম ম্যাচ কঠিন ছিল, এরই মধ্যে সেটা জিতেছি। মানসিকভাবে আমরা এখন চাঙা। প্রতিটি খেলোয়াড় আত্মবিশ্বাসী। এটা পরের ম্যাচের জন্য জরুরি। আমার মনে হয়, আমরা যদি একই কাজ করতে পারি, একই নিবেদন নিয়ে মাঠে নামি, তাহলে নিশ্চিতভাবেই আমরা জিতব।’