বল হাতে ট্রাভিস হেডের স্পিন ভেলকির পর ওপেনার ম্যাথু শর্টের ঝোড়ো ইনিংসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টানা তৃতীয় ওয়ানডে সিরিজ জিতলো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। সিরিজ নির্ধারর্ণী পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে বৃষ্টি-আইনে ইংল্যান্ডকে ৪৯ রানে হারিয়েছে অজিরা। ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতলো তারা। এর আগে, ২০২০ ও ২০২২ সালে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল অজিরা।

রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ব্রিস্টলে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ ওভারে ৫৮ রানের সূচনা পায় ইংল্যান্ড। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ২৭ বলে ৪৫ রান করা ইংলিশ ওপেনার ফিল সল্টকে থামিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার অ্যারন হার্ডি।

এরপর রানের খাতা খোলার আগেই হার্ডির দ্বিতীয় শিকার হন তিনে নামা উইল জ্যাকস। দলীয় ৭০ রানে দ্বিতীয় উইকেট পতনের পর শক্ত হাতে হাল ধরেন আরেক ওপেনার বেন ডাকেট ও অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের উপর চড়াও হয়ে তৃতীয় উইকেটে ৯৮ বলে ১৩২ রান যোগ করেন তারা। এই জুটিতে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ডাকেট।

ডাকেটের সেঞ্চুরি এবং ব্রুকের অর্ধশতকে ২৫তম ওভারে ২শ রান তুলে শক্ত অবস্থানে পৌঁছে ইংল্যান্ড। এরপরই ইংলিশদের পথ চলায় ছন্দপতন হয়। পরের ২৪ দশমিক ৩ ওভারে বাকি ৮ উইকেটে ১০৭ রান তুলতে পারে ইংল্যান্ড। শেষমেশ ৪৯ দশমিক ২ ওভারে ৩০৯ রানে গুটিয়ে যায় তারা। 

৬ দশমিক ২ ওভারে ২৮ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন হেড। ওয়ানডেতে অষ্টম বা এরপর আক্রমণে এসে সেরা বোলিং ফিগারে তৃতীয় স্থানে নাম লেখান হেড।

জবাবে ৭ ওভারেই ৭৮ রান সংগ্রহ করেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার শর্ট ও হেড। কিন্তু অষ্টম ওভারের প্রথম বলে পেসার ব্রাইডেন কার্সের শিকার হন ২৬ বলে ৩১ রান করা হেড।

হেড ফিরলেও অস্ট্রেলিয়ার রানের গতি ধরে রাখেন শর্ট। ছক্কা মেরে মাত্র ২৩ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। দলের রান ১’শ পার করে ইংলিশ পেসার পটসের বলে আউট হন শর্ট। ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৩০ বলে ৫৮ রান করেন তিনি।

শর্ট ফেরার পর অস্ট্রেলিয়ার রানের চাকা ঘুরিয়েছেন স্টিভেন স্মিথ ও জশ ইংলিশ। তাদের ৪৭ রানের জুটিতে ২০ দশমিক ৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানে পৌঁছে যায় অজিরা। এরপর বৃষ্টি নামলে খেলা বন্ধ হয়। শেষমেশ বৃষ্টি আইনে ৪৯ রানে জয় পায় অজিরা। 

এর আগে, তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছিল ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।