রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশকে হারাল ভারত

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৭ পিএম
-66fbb26eb891c.jpg)
বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট, ছবি: এএফপি
কানপুর টেস্ট জিততে ভারতকে নতুন রেকর্ড গড়তে হতো। তবে ভারতের জন্য সেই রেকর্ড আহামরি কিছুই ছিল না। এর আগে, কানপুরে সর্বোচ্চ রানতাড়ার রেকর্ড ছিল ৮৩। এবার জয়ের জন্য টিম ইন্ডিয়ার সামনে টার্গেট মাত্র ৯৫ রানের। হাতে ছিল সব মিলিয়ে দুই সেশন। আর সহজেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে স্বাগতিক দল। এই জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল টিম ইন্ডিয়া।
দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার সাদমান ইসলামের হাফ-সেঞ্চুরির পরও মাত্র ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ফলে জয়ের জন্য স্বাগতিকদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৯৫ রানের। মামুলি লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৩ উইকেট হারালেও দ্বিতীয় সেশনেই জয় নিশ্চিত করেছে রোহিত শর্মার দল। জয়সওয়ালের ফিফটির সুবাদে ৭ উইকেটের দারুণ পায় টিম ইন্ডিয়া।
মামুলি লক্ষ্য তাড়ায় নেমে আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলতে থাকেন দুই ভারতীয় ওপেনার। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দুই ওভারেই ১৮ রান করে ভারত। তবে তৃতীয় ওভারে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন রোহিত। তাকে ফেরান মিরাজ।
এরপর তিনে নামা গিলকেও লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান মিরাজ।
গিল ফেরার পর মাঠে নামা বিরাট কোহলিকে নিয়েই জয়ের পথ পাড়ি দেন জয়সওয়াল। দলকে জেতাতে ৫১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। তবে জয় থেকে ৩ রান দূরে থাকতে ছক্কায় হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন জয়সওয়াল। এরপর দলের জয় নিশ্চিত করে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি।
এর আগে, পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করেন আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটার মুমিনুল ও সাদমান। তবে দিনের শুরুতেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল। দলীয় ৩৬ রানে ৮ বলে মাত্র ২ রানে ফেরেন এই ব্যাটার।
এরপর অধিনায়ক শান্তকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন সাদমান। তবে টাইগার দলপতিও বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। ৩৭ বলে ১৯ রানে ফেরেন শান্ত।
এরপর একপ্রান্ত আগলে রেখে ৬৭ বলে ফিফটি তুলে নেন সাদমান। তবে হাফ-সেঞ্চুরির পর উইকেটে টিকতে পারেননি টাইগার এই ওপেনার। ১০১ বলে ৫০ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ১ রানে লিটন ও রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন সাকিব আল হাসান। এতে দলীয় একশ'র আগেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে লাল-সবুজেরা।
সাদমান ছাড়া বাকি তিনজনই জাদেজার বলে ফেরেন। সর্বশেষ জাদেজার বলে তার হাতেই সহজ ক্যাচ তুলেন সাকিব।
এরপর জাসপ্রিত বুমরাহর গুড লেংথের ডেলিভারিতে উইকেটকিপার পান্তের হাতে ক্যাচ দিয়ে মিরাজও দ্রুতই ফেরেন। খানিক পরে তাইজুলও সেই বুমরাহর বলেই ফেরেন। তবে এবারের আউট এলবিডব্লিউ।
শেষ উইকেটে খালেদ আহমেদের সঙ্গে একার লড়াই চালিয়ে চাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। তবে টাইগার সমর্থকদের হতাশ করে বিদায় নেন মুশিও। দলীয় ১৪৬ রানে বুমরাহর ইনসুইং ডেলিভারিতে বোল্ড হন মুশফিক।
ম্যান ইন ব্লুদের হয়ে অশ্বিন, জাদেজা ও বুমরাহ তিনটি করে উইকেট নেন।