সাকিবের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ নিয়ে ভুল এবং বানোয়াট খবর

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৭ পিএম

সাকিব আল হাসান
সাকিব আল হাসানের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ, এমন শিরোনামে দেশের একটি দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই নানান আলোচনা দেশের ক্রিকেটপাড়ায়। দেশের কয়েকটি অনলাইন পোর্টালেও বিষয়টি নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এরপরই আলোচনায়, বিষয়টি আসলেই সত্যি? সত্যিই সাকিবের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ? ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে সারের হয়ে সমারসেটের বিপক্ষে খেলেছিলেন সাকিব।
এই ম্যাচের পর ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ম্যাচও খেলেন তিনি। তাহলে তখন এমন কোনো অবজেকশন আসলো না কেন, বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা থেকে! সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর জানা গেল, খরবটি একদমই ভিত্তিহীন, ভুল ও বানোয়াট। মোটেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি সাকিবের বোলিং অ্যাকশন।
দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা-বিসিবি থেকে জানানো হয়, ‘সাকিবের বোলিং নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠেছে, সাকিব রিপোর্টেড হয়েছেন- এখন পর্যন্ত এমন কোন খবর বিসিবিতে আসেনি। আইসিসি থেকে কিংবা সাকিবের কাউন্টি ক্লাব সারেও তা বিসিবিকে জানায়নি। এটা পুরোই ভুল ও কল্পনা প্রসূত সংবাদ।’
এ প্রসঙ্গে বিসিবি পরিচালক ও আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান ইফতিখার রহমান মিঠু জানান, তিনি বা বিসিবির কোনো কর্মকর্তা এমন কোন খবর শোনেননি। বিসিবিকে কোনো মাধ্যম থেকে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার খবর পাঠানো হয়নি।
এ নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বিসিবির সিনিয়র মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমামও। তার মন্তব্য, ‘সাকিবের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার কোন খবর আমি বা আমরা (বিসিবি) জানি না।’
পুরো প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করে রাবিদ জানান, ‘সাধারণত কোনো বোলারের বোলিং অ্যাকশন সন্দেহ হলে সেটা রিপোর্ট করেন আম্পায়াররা। ওই ক্রিকেটার যে ম্যাচে অংশ নিয়েছেন, সেই ম্যাচের আম্পায়াররা বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ হলে প্রথমে রিপোর্ট করেন। তখন সেই ক্রিকেটার যে দলের হয়ে অংশ নিয়েছেন, সেই ক্লাব, দল কিংবা জাতীয় দল- যেই হউক না হোক না কেন, সেখানে সবার আগে খবর দেয়। একইভাবে সে খবর আইসিসির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বোর্ডেও চলে আসে। সাকিবের ক্ষেত্রে এসব কিছুই হয়নি।’
তিনি যোগ করেন, ‘আর সবচেয়ে বড় কথা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইংলিশ কাউন্টি খেলতে গিয়ে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাকিবের। সেটা সেপ্টেম্বরের প্রথম অংশের খবর। তার দুই সপ্তাহ পরতো সাকিব ভারতের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্টও খেলেছে। রিপোর্টেড হলেতো আর ওই টেস্ট দুটি খেলা সম্ভব হতো না। কাজেই এ ধরনের সংবাদের কোনো ভিত্তি নেই।’