অবৈধ বোলিং অ্যাকশন: নিষিদ্ধ হয়েছিলেন বাংলাদেশের যেসব ক্রিকেটার

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪২ পিএম

সাকিব আল হাসান
‘সাকিব আল হাসানের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ’—লাল-সবুজ শিবিরে বড় বিস্ময়ের সংবাদই বটে। ১৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম তাকে ঘিরে এমন কিছু শোনা গেল। গেল সেপ্টেম্বরে টাইগারদের পাকিস্তান ও ভারত সফরের মাঝখানে কাউন্টি ক্রিকেটে সারের হয়ে খেলার সময়ে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সাকিবের বোলিং নিয়ে এবারই প্রথম প্রশ্ন উঠলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটে এমনটা নতুন কিছুই না। লাল-সবুজের বেশ কয়েকজন বোলারের অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুধরানোর পর ফের বোলিংয়ের অনুমতি পেয়েছেন তারা।
সর্বপ্রথম ২০০১ সালের শুরুতে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের তীর ধেয়ে এসেছিল। সেই বছরের জানুয়ারিতে নাঈমুর রহমান ও মোহাম্মদ রফিকের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ বলে জানিয়েছিল আইসিসি।
বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থাটি জানায়, ২০০০ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে ভারতের বিপক্ষে তাদের বোলিং অ্যাকশন সন্দেহজনক ছিল। তবে নাঈমুর-রফিককে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি আইসিসি। আইসিসির বিধিমালা মেনে, বোলিং অ্যাকশন নিয়ে ৬ সপ্তাহ কাজ করেন তারা।
বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে আবদুর রাজ্জাকের অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। ২০০৪ এশিয়া কাপে অভিষেকের পরই তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সে সময়ে সতর্ক করার পর খেলা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় তাকে। তবে ৪ বছর পর আর সেই সুযোগ পাননি রাজ্জাক। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ফের প্রশ্ন ওঠায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রাজ্জাক নিষিদ্ধ হন। তবে অ্যাকশন শুধরে ৪ মাস পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ফেরেন বাঁ-হাতি এই স্পিনার।
৬ বছর পর ফের দুই বোলারের বোলিং নিয়ে প্রশ্ন তোলে আইসিসি। সেবারই প্রথম বাংলাদেশের কোনো পেসারের অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। যে কারণে অফ-স্পিনার সোহাগ গাজী ও পেসার আল আমিন হোসেনকে নিষিদ্ধ করে আইসিসি। তবে দু'বার পরীক্ষা দিয়ে ফেরার অনুমতি পান তারা।
২০১৬ সালে সবচেয়ে বড় ঝাঁকুনিটা খায় লাল-সবুজ শিবির। টি-টোয়েন্টি বিশ্বভারত কাপ চলাভারত কালে তাসকিন আহমেদ ও বাঁ-হাতি স্পিনার আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশনকে অবৈধ ঘোষণা করে আইসিসি। তবে সানির অ্যাকশন আগে থেকেই আলোচনা ছিল। তবে বিস্ময়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাসকিনের বিষয়টি। সে সময়ে এর পেছনে ‘ষড়যন্ত্র–তত্ত্ব’ হাজির করেন বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তরা।
এ ঘটনায় বিশ্বকাপ চলাকালেই চেন্নাইয়ে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন সানি ও তাসকিন। সেখানেও অ্যাকশন অবৈধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যায়। ৬ মাস পর ফের পরীক্ষা দেন তারা। পাস করে আবারো বোলিংয়ের অনুমতি পান এই দুই ক্রিকেটার।
এদিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোট ৭ বোলারের অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত বিষয় এটি। অ্যাকশনের পরীক্ষা নিয়ে অনেককে নিষিদ্ধও করেছে বিসিবি।