এবারো গোপন থাকলো বিপিএলে সম্প্রচার স্বত্বের টাকার অঙ্ক

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সর্বশেষ আসরে টাইটেল স্পন্সর ছিল ইস্পাহানি। তবে আসন্ন আসরের জন্য প্রধান পৃষ্ঠপোষক হয়েছে বেসরকারি ডাচ বাংলা ব্যাংক। এ ছাড়া পাওয়ার্ড বাই ও কো-স্পন্সর হিসেবে ডাচ-বাংলা ব্যাংকেরই দুটি গ্রাহকপ্রিয় সেবা মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস রকেট ও ই-ওয়ালেট নেক্সাসপে অ্যাপ থাকছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) মিরপুরের শেরে-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মিডিয়া সেন্টারে আনুষ্ঠানিক লোগো উন্মোচন করা হয়। বিপিএল-এর ১১তম আসরের নাম ‘ডাচ্-বাংলা ব্যাংক বিপিএল টি-টোয়েন্টি, পাওয়ার্ড বাই রকেট, কো-স্পন্সর নেক্সাসপে’।
এদিকে বিপিএলের স্পন্সর থেকে বিসিবি কত টাকা পাচ্ছে, এ নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই। জানা গেছে, গেল আসরের মতো এবারও সাড়ে পাঁচ কোটি টাকায় বিপিএলের স্পন্সরশিপ বিক্রি হয়েছে। সেই হিসেবে ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টের দাম বাড়েনি। যদিও স্পন্সর থেকে আয়ের তথ্য প্রকাশের সংস্কৃতিই দেশের ক্রিকেটে প্রচলিত না। এবারো তেমনটাই ঘটেছে। তবে বিশ্বের সবচেয়ে জমকালো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো সম্প্রচার স্বত্ব থেকে পাওয়া টাকার অঙ্ক সবসময়ই প্রকাশ করে থাকে।
এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন জানান, ‘এটা বিজনেস সিক্রেট। তবে যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে।’
প্রেস কনফারেন্সে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব নাজমুল আবেদিন ফাহিমসহ টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পন্সর ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন, বিপিএলের টাইটেল ও গ্রাউন্ড ব্র্যান্ডিং রাইটস্ হোল্ডার ইমপ্রেস-মাত্রার পক্ষ থেকে জনপ্রিয় অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
টাকার অঙ্ক প্রসঙ্গে নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেন, ‘হিসাব দেওয়ার মধ্যে আমি কোনো সমস্যা দেখি না। ব্যক্তিগতভাবে আমি ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট থাকতে পছন্দ করি। স্বচ্ছ থাকতে পছন্দ করি। বোর্ডের ভিউ কি আমি নিশ্চিত না। আমার বলতে ভালো লাগবে যে আমরা ১০০ কোটি টাকা লাভ করেছি। ১০০ কোটি লাভ হলে ৫০ কোটি বলব তা না, আমি ১০০ কোটিই বলব যদি লাভ করতে পারি। এটা একটা ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট থাকাই ভালো। সে চেষ্টাই থাকবে।’
আগামী ৩০ ডিসেম্বর শুরু হবে বিপিএলের ১১তম আসর। তবে এখন থেকেই বিপিএল দামামা বাজছে। ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টের আসন্ন আসরে দর্শকদের জন্যও নানা উদ্যোগ থাকছে। মূলত দর্শকদের ভোগান্তি কমাতে নানান উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
বিপিএলের টাইটেল স্পন্সর ঘোষণা অনুষ্ঠানে দর্শকদের নিয়ে নানান ভাবনার কথা জানান বিসিবি পরিচালক ফাহিম। তার ভাষ্য, আমি চাইবো একজন দর্শক মাঠে ঢোকা থেকে বের হওয়া পর্যন্ত কোনো হেনস্থার শিকার না হয়। খাবারের দাম যেমন হওয়া উচিত, তেমন যেন হয়। ওয়াশরুম ব্যবহার থেকে শুরু করে পানি পান.. এমনও হতে পারে পানির জন্য কোনো টাকাও দিতে হবে না।
বিসিবির এই পরিচালক বলেন, টিভিতেও যারা খেলা দেখবে, তারা যেন ভালো কিছু দেখতে পারে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি বলছি না এক আসরেই টুর্নামেন্ট ওয়ার্ল্ডক্লাস হয়ে যাবে। কিন্তু আগের আসরের চেয়ে ভালো হবে। সামনের বছরগুলোতে আরো ভালো হবে বিপিএলের মান। এবারের বিপিএলে ই-টিকিটের প্রাধান্য থাকবে বেশি, ৮০-৮৫ শতাংশ।
উল্লেখ্য, বিপিএলের এবারে আসর ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ পর্যন্ত চলবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ৭টি দল খেলবে। খেলাগুলো সরাসরি টি-স্পোর্টস, গাজী টিভি, টি-স্পোর্টস অ্যাপ ও RabbitholeBd অ্যাপে দেখা যাবে।