সহজ ম্যাচ কঠিন করে হারলো বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পাওয়ার পর এবার এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো আয়ারল্যান্ড নারী দল। অন্যদিকে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে বোলাররা দ্যুতি ছড়ালেও ব্যর্থতার বৃত্তেই ঘুরপাক খেয়েছেন ব্যাটাররা। ফলে তুলনামূলক সহজ ম্যাচ কঠিন করেই হারলো বাংলাদেশ।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৪ রানের সংগ্রহ পায় আইরিশরা। জবাবে মাত্র ৮৭ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৪৭ রানের বড় এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতলো সফরকারীরা।
মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। মাত্র ২২ রানের মধ্যেই উপরের সারির ৪ ব্যাটারকে হারিয়ে বসে টাইগ্রেসরা।
পঞ্চম উইকেটে ৪৮ রান যোগ করে সেই বিপর্যয় সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শারমিন আক্তার সুপ্তা ও স্বর্ণা আক্তার জুটি। তবে তাদের বিদায়ে আবারো আসা-যাওয়ার মিছিল শুরু হয়।
৪৩ বলে ৩৮ রান করে ফেরেন শারমিন। আর স্বর্ণার ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ২০ রান। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে কেউই দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে ওরলা প্রেন্ডারগাস্ট তিনটি উইকেট নেন। এ ছাড়া আরলেনা কেলি ও লরা ডেলানি দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। বাকি একটি উইকেট আলানা ড্যাজেলের ঝুলিতে গেছে।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা খারাপ হয়নি আয়ারল্যান্ডের। ওভারপ্রতি ৬ রান করে তুলছিলেন দুই ওপেনার গ্যাবি লুইস এবং অ্যামি হান্টার।
খানিকটা ধীরগতির ছিলেন গ্যাবি। ১৪ রান করতে গিয়ে অনেকটা ডটবল খেলেছিলেন। তবে গিয়ারে পরিবর্তন আনতে গিয়েই নাহিদা আক্তারের বলে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার। দিলারার দুর্দান্ত রিফ্লেক্সে সাজঘরে ফেরেন আইরিশ অধিনায়ক।
কিছুক্ষণ পর অ্যামি হান্টারও প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। ২৩ বলে ২৩ রান করে ফেরেন এই ওপেনার। তিনে নেমে ওরালা প্রেন্ডারগাস্ট বিপর্যয় কাটানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে ২৫ বলে ৩২ রানের বেশি করতে পারেননি এই আইরিশ ব্যাটার।
এরপর ডেলানিকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন লেয়াহ পল। কিন্তু ইনিংসের ১৮তম ওভারে জাহানারার বলে ক্যাচ হয়ে ফেরেন ১৬ রান করা পল।
শেষদিকে ডেলানি ৩৫ রানে ফিরলে রাহ ফোর্বসের ৪ এবং স্টোকেলে অপরাজিত ৯ রানে ভর করে ১৩৪ রানের পুঁজি পেয়েছে আয়ারল্যান্ড।
টাইগ্রেসদের হয়ে ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন নাহিদা আক্তার। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নেন জান্নাতুল ফেরদৌস, ফাহিমা এবং জাহানারা আলম।