বিজয় দিবসে বাংলাদেশের শ্বাসরুদ্ধকর জয়

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ এএম
-675fa1ccd8755.png)
ছবি: সংগৃহীত
পরাধীনতার শিকল ছিঁড়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনী থেকে বিজয় ছিনিয়ে আনে বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা। বিজয়ের এমন দিনেই শ্বাসরুদ্ধকর এক বিজয় উপহার দিলো টাইগাররা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট ভিনসেন্টে এখন স্থানীয় সময় ১৫ ডিসেম্বরের শেষ প্রহর। অন্যদিকে হাজার কিলোমিটার দূর বাংলাদেশে এখন ১৬ ডিসেম্বর। ভোরের আলো ফোটার পরপরই বিজয়ের ৫৩ বছর পালন করছে লাল-সবুজের দেশটি। এবার টাইগারদের শ্বাসরুদ্ধকর এক জয়ে উৎসবের উপলক্ষ্যও আরেকটু চওড়া হলো। ক্যারিবীয়দের ১৪০ রানে থামিয়ে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ৭ রানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে লিটন দাসের দল। এ জয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টাইগাররা।
পেন্ডুলামের মত ম্যাচের ভাগ্য দুলছিল। একদিকে পাওয়েল, অন্যদিকে টাইগার বোলারদের আপ্রাণ চেষ্টা। মেহেদীর ঘূর্ণিতে সহজ জয়ের স্বপ্ন বুনলেও সেই স্বপ্নকেই যেন কেড়ে নিতে চাচ্ছিলেন পাওয়েল।
হাসান মাহমুদের করা ২০তম ওভারে দরকার ছিল ১০ রান। রোভম্যান পাওয়েল তখনো ক্রিজে ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের বোলারদেরই জয় হলো। বাজিমাত করলেন হাসান। পাওয়েলকে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচে পরিণত করেন। তার বিদায়েই জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। এরপর এক বল বিরতি দিয়ে বোল্ড আলজারি জোসেফ। তাতেই দারুণ এক জয়।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিশেষ করে অফ-স্পিনার মেহেদীর ঘূর্ণি বোলিংয়ে রীতিমত কাঁপতে শুরু করে স্বাগতিকরা। এতে ৩৮ রানেই ৫ উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। একাই ৪ উইকেট নেন মেহেদী।
১৪৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই তাসকিনের শিকারে পরিণত হন ওপেনার ব্রেন্ডন কিং। তাসকিনের বলে ওঠা ক্যাচ তালুবন্দী করেন তানজিদ তামিম।
এরপরই শেখ মেহেদীর ঘূর্ণি তাণ্ডব। নিকোলাস পুরান (১), রস্টোন চেজ (৭), আন্দ্রে ফ্লেচার (০) শেখ মেহেদীর বলে দ্রুত আউট হন। সর্বোচ্চ ২০ রান করা জনসন চার্লসের উইকেটও তুলে নেন এই অফ-স্পিনার।
তানজিম সাকিব এবং রিশাদ হোসেন মিলে আরো দুই উইকেট তুলে নেন। গুদাকেশ মোতিকে ৬ রানে ফেরান সাকিব এবং আকিল হোসেনের উইকেট নেন রিশাদ। ফলে ১২ ওভারের আগেই ৬১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। তবে এরপর ম্যাচে ফেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১৩ ওভারে ৭ উইকেটে ৭০ থেকে ১৫ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৮ রান হয়ে যায় দলটির। ১৪তম ওভারে তিন চারসহ ১৫ রান দেন রিশাদ, আর পরের ওভারে তাসকিনকে ৩টি ছক্কা হাঁকান রোভম্যান। এতেই ম্যাচ হাত ছাড়া হওয়ার উপক্রম। তবে শেষপর্যন্ত বাংলাদেশই শেষ হাসি হেসেছে। যেখানে ১৩ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক শেখ মাহেদী।
এর আগে, শামীম পাটোয়ারীর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১৪৭ রানের লড়াকু স্কোর দাঁড় করায় বাংলাদেশ। ১৫ ওভার শেষে দলীয় রান ছিল মাত্র ৯৫। সেখান থেকেই বেশ একটা ঝড় তুলেছেন শামীম। এক বছর পর জাতীয় দলে ফেরা এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার দারুণ এক ইনিংসই উপহার দিয়েছেন। আর শেখ মেহেদীকে সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন। দুজনে মিলে বাংলাদেশের স্কোর ১৪০ পার করেছেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রানে থেমেছে বাংলাদেশ।