নারীর ক্ষমতায়ন ও অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতকরণে ই-কমার্সের ভূমিকা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৩, ০৭:৪৭ পিএম

বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের একতাবদ্ধ করতে বড় একটি ভূমিকা রেখেছে ই-কমার্স। তবে ই-কমার্স নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য একটি অসাধারণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। নিজেদের তৈরি পণ্য তো আছেই, পাশাপাশি ই-কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসায়ীক উদ্যোগে তারা সহজেই অংশ নিতে পারছেন।
আমাদের আশেপাশে অনেক নারী নিজ নিজ স্থান থেকেই নিজেরা কিছু করতে চাইছেন, কিন্তু বিভিন্ন পরিস্থিতি ও প্রতিবন্ধকতার কারণে তারা অংশ নিতে পারতেন না। আমার পরিচিত মানুষের গণ্ডিতেই এমন কিছু নারীর সাথে পরিচয় হয়েছে, যারা হস্তশিল্প নিয়ে দারুণ কাজ করেন- কিন্তু সঠিক প্ল্যাটফর্মের অভাবে তারা তাদের পণ্য সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারতেন না, কেউ তাদের দারুণ এই কাজগুলো দেখতে পারতো না।
এ ধরণের অভিজ্ঞতাই আমাকে ই-কমার্স নিয়ে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। কারণ দেশের নারীরা যদি নিজ স্থান থেকে এগিয়ে আসতে পারে, তাহলেই আমরা একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পারবো। ই-কমার্স দিয়ে শুধু নারীদের ক্ষমতায়নই নয়, পাশাপাশি গ্রাহক ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে একটি মেলবন্ধন গড়া সম্ভব।
তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ই-কমার্সকে নারীবান্ধব করতে পুরো বিজনেস মডেলে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা দরকার। নারীরা যেন সহজে ই-কমার্স বিজনেসে অংশ নিতে পারেন বা তারা অংশ নিতে গিয়ে কী কী চ্যালেঞ্জ ফেস করছে- সেগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের জন্য কাজ করতে হবে। এরপর ই-কমার্সে ক্রয়-বিক্রয় করার প্রক্রিয়াটিকে সহজ ও সুবিধাজনক করা জরুরি।
ছোট পরিসরে কাজ করা উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। সর্বোপরি, ডিজিটাল লিটারেসি বা ডিজিটাল ব্যবসার জন্য যথাযথ ট্রেনিং যেন সবাই পায়- এই উদ্যোগ নেয়াও অনেক বেশি দরকারি।
নারীর ক্ষমতায়নে ই-কমার্স শুধুমাত্র একটি কেনা-বেচার প্ল্যাটফর্ম হয়ে নয়- নারীদের উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্নপূরণ, তাদের নিজেদের প্রতিভা প্রকাশ এবং যথাযথ সুযোগ করে দেয়ার মাধ্যম হিসেবে কাজ করতে পারে। এমন একটি মাধ্যম তৈরি করার স্বপ্ন নিয়েই আমি কাজ করে চলছি, যেখানে নারীরা আর্থসামাজিক প্রতিবন্ধকতাগুলো কাটিয়ে সমানভাবে এগিয়ে আসতে পারে এবং ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়তে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে যেতে পারে।
তবে এর জন্য সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে এসে কাজ করতে হবে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে, যেখানে স্মার্ট সোসাইটিতে নারী-পুরুষের বিভেদ বিলুপ্ত হবে এবং সবাই সমান সুযোগ পাবে।
লেখক: রিপন মিয়া, প্রধান নির্বাহী, কিউকম