স্টারটেকে নকল পণ্য
আমি ও আমার কোম্পানি কোনো প্রতারণা করিনি
প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৪ পিএম

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সহ সভাপতি ও স্টারটেকের চেয়ারম্যান মো. রাশেদ আলী ভূঁইয়া
বাংলাদেশি প্রযুক্তিপণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান স্টারটেকের বিরুদ্ধে নকল এসএসডি পণ্য বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির গাজীপুর শাখা থেকে সাজিদ নামের একজন গ্রাহক স্যামসাংয়ের এসএসডি ক্রয় করে পরে জানতে পারেন পণ্যটি নকল। সেই একই পণ্য গাজীপুর ছাড়াও স্টার টেকের বিভিন্ন শাখা ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশেই স্যামসাংয়ের কেসিংয়ের ভিতরে নকল এসএসডি ড্রাইভ বিক্রি হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। তবে প্রতিষ্ঠানটি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসএসডি ছাড়াও দেশের বাজারে আসা প্রায় সকল ধরনের নকল ও গ্রে মার্কেট হয়ে আসা প্রযুক্তি পণ্য সয়লাব হয়ে আছে। সরকারের শীর্ষ মহল থেকে গ্রে মার্কেট হয়ে আসা মোবাইল ফোন বন্ধ করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়। এরপর বিটিআরসি এসব নকল ও অবৈধ পণ্য ধরতে নানান সময় অভিযান পরিচালনা করে অনেকটা সফল হয়। কিন্তু মোবাইল ছাড়া অন্য অবৈধ ও নকল প্রযুক্তি পণ্য বিক্রি বন্ধে কোনো উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ দেখা যায়নি।
সম্প্রতি স্টার টেকে স্যামসাংয়ের নকল এসএসডি পণ্য বিক্রির অভিযোগ আসলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই এ বিষয়ে কথা বলতে থাকেন। কিছু কিছু গণমাধ্যম এ সংশ্লিষ্ট সংবাদও প্রকাশ করেছে। তবে স্টার টেক কর্তৃপক্ষ বলছে ভিন্ন কথা।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সহ সভাপতি ও স্টারটেকের চেয়ারম্যান মো. রাশেদ আলী ভূঁইয়া ভোরের কাগজকে বলেন, আমি ও আমার কোম্পানি কোনো গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করিনি। সামান্য ভুলের জন্য আমাদের ইমেজ নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের কোম্পানিতে ৮/৯ শত মানুষ কাজ করে। আমরা কখনই নকল বা অবৈধ পণ্য বিক্রি করিনি।
স্যামসাংয়ের নকল এসএসডি প্রসঙ্গে রাশেদ আলী বলেন, বাংলাদেশে স্যামসাং এসএসডির অফিসিয়াল কোনো ডিস্ট্রিবিউটর নেই। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য নিয়ে আসে। আমাদের তো এসব পণ্য বিক্রির আগে খুলে চেক করে নেয়ার সুযোগ নেই। তবে গাজীপুরে মেইড ইন কোরিয়ার যে এসএসডিতে টেকনিক্যাল ইরোর এসেছিল, সেটার অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করে দেয়া হয়েছে। তবে আমাদের সাপ্লাইয়ার বলেছে, এটা আসল পণ্য। তবু আমরা অভিযোগ পাওয়ার কারণে এটা বিক্রি বন্ধ করেছি।
তিনি বলেন, অবৈধ প্রযুক্তি পণ্য বিক্রি করলে সেটার জন্য বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) বা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে আসতে পারতো। এখন পর্যন্ত এই দুটি প্রতিষ্ঠানে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসেনি। এছাড়া আমাদের কাছে অভিযোগ করে সেবা পায়নি এমন কি কেউ আছে?
আর কিছুদিন পরেই বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে অংশ নেবেন স্টারটেকের চেয়ারম্যান মো. রাশেদ আলী ভূঁইয়া। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে হঠাৎ এভাবে আলোচনায় আসলে সেটা তো সংশয় তৈরি করতেই পারে। কেউ আমাদের ব্যবসায়িক ইমেজ নষ্ট করতে চাইতে পারে। আমি বিসিএস নির্বাচন করবো এ জন্যও কেউ এমনটা করতে পারে।