ভিপিএন ব্যবহারে হতে পারে যে সর্বনাশ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:১২ পিএম
-(1)-66a4f22d0cf9b.jpg)
ভিপিএন ব্যবহারে হতে পারে সর্বনাশ। ছবি: সংগৃহীত
প্রাইভেট ভার্চুয়াল নেটওয়ার্ক সংক্ষেপে ভিপিএন বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়। এটি ব্যবহারকারীর অনলাইন কার্যকলাপকে সুরক্ষিত করতে এবং গোপনীয়তা রক্ষা করতে সাহায্য করে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশে ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন ঘটে। ধীরগতির পর বন্ধ করে দেয়া হয় মোবাইল ইন্টারনেট এবং ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। এমন পরিস্থিতিতে দেশে ভিপিএনের ব্যবহার বেড়েছে।
তবে ভিপিএন ব্যবহারে কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। ভিপিএন ডাউনলোডের সময় মোবাইল বা কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ফেসবুক, ইমেইলসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সব নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ভিপিএন নির্মাতার কাছে। ব্যবহারকারীর ডাটা যেহেতু ভিপিএন সেবাদাতার হাত হয়ে যায়, তাই সেবাদাতার সততার ওপর নির্ভর করে ব্যবহারকারীর তথ্য নিরাপত্তা। ভিপিএন ব্যবহারে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ ঝুঁকি থেকে সচেতন হতে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
ডেটা নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা কিছু ভিপিএন পরিষেবা ব্যবহারকারীর অনলাইন কার্যকলাপ লিপিবদ্ধ করতে পারে। এ তথ্য বিক্রি বা শেয়ার করার সম্ভাবনা থাকে, যা ভিপিএন ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা বিঘ্নিত করতে পারে। সব ভিপিএনের সেবার মানও সমান নয়। কিছু নিম্নমানের ভিপিএন ব্যবহারকারীর ডাটা নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা রক্ষা করে না।
ভিপিএনে আরেকটি সমস্যা হলো ধীরগতির ইন্টারনেট। এক্ষেত্রে ব্রাউজিংয়ে বিড়ম্বনা হতে পারে। অন্যদিকে ভিপিএন সার্ভার যদি হ্যাক হয় অথবা দুর্বল হয়, তবে ব্যবহারকারীর এনক্রিপ্টেড ডাটা লিক হতে পারে। যা গ্রাহকের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে।
আরো পড়ুন: কবে থেকে চালু হচ্ছে ফেসবুক-টিকটক?
ভুয়া ভিপিএন, ফিশিং এবং স্ক্যাম ব্যবহারকারীর ডাটা চুরি করার চেষ্টা করে। এগুলো থেকে সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে একটি বিশ্বাসযোগ্য ভিপিএন নির্বাচন করতে হবে।
ভিপিএন একটি শক্তিশালী টুল যা ব্যবহারকারীর অনলাইন নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হয়ে থাকে। তবে ভিপিএনের ব্যবহারে রয়েছে ঝুঁকিও। তাই এগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।