এবার বড় পর্দায় দেখা যাবে রাতের স্বপ্ন!

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
রাতের ঘুমে দেখা স্বপ্নের রেশ ধরে রাখতে চান? এবার তা সম্ভব হতে চলেছে জাপানের বিজ্ঞানীদের এক অভিনব আবিষ্কারের মাধ্যমে। জাপানি বিজ্ঞানীরা এমন একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন, যা মানুষের স্বপ্নকে রেকর্ড করতে সক্ষম। অর্থাৎ, আপনি ঘুমিয়ে যা স্বপ্ন দেখেন, তা পরবর্তীতে আবারো দেখে নিতে পারবেন বড় পর্দায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনের বিভিন্ন ঘটনা, চিন্তা ও ক্লান্তি আমাদের মনের উপর প্রভাব ফেলে, যার প্রতিফলন হয় ঘুমের মধ্যে। যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঘুম ভাঙার পর সেই স্বপ্নের স্মৃতি হারিয়ে যায়, তবু কিছু দুঃস্বপ্ন মনে গেঁথে থাকে দীর্ঘদিন। অনেকে বলেন, স্বপ্নের সঙ্গে জীবনের নানা ঘটনার সম্পর্ক রয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় শুভ বা অশুভ কিছু ঘটনার। খবর আনন্দবাজারের।
স্বপ্ন রেকর্ডের যন্ত্রটি তৈরি করতে জাপানের বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির ব্যবহার করেছেন। এই প্রযুক্তি মস্তিষ্কের সংকেত বিশ্লেষণ করে স্বপ্নের ছবিকে ধরা দেয়, যা পরবর্তীতে ভিডিও আকারে দেখা যাবে। এই অসাধারণ যন্ত্রটি তৈরি করেছেন জাপানের কিয়োটোতে অবস্থিত ‘এটিআর কম্পিউটেশনাল নিউরোসায়েন্স’ গবেষণাগারের বিজ্ঞানীরা। গবেষণাগারে স্বেচ্ছাসেবকদের ঘুমের প্রাথমিক পর্যায়ের মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে তারা স্বপ্নের বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তারা ৬০ শতাংশ নির্ভুলভাবে স্বপ্নের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা করতে পেরেছেন।
গবেষণা দলের প্রধান অধ্যাপক ইউকিয়াসু কামিতানি জানিয়েছেন, মস্তিষ্কে ঘুমের সময় যে কার্যকলাপ চলে, তা বিশ্লেষণ করে স্বপ্নের তথ্য বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। মস্তিষ্কের প্রতিচ্ছবি ব্যবহার করে অ্যালগরিদমের মাধ্যমে সেই স্বপ্নকে ভিডিওতে রূপান্তর করার প্রচেষ্টাও চলছে।
স্বপ্নের বিষয় নিয়ে দীর্ঘ গবেষণার পর এই যন্ত্রটি উদ্ভাবন করা হয়েছে, যা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে বিজ্ঞানীরা যন্ত্রটির আরো উন্নত সংস্করণ তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, যাতে স্বপ্নের ‘রেজোলিউশন’ বা স্পষ্টতা আরো ভালো হয়।
আরো পড়ুন: ময়ুখ রঞ্জন ঘোষ: সাংবাদিকতা নাকি নাটকীয়তা?
স্বপ্ন দেখা মানুষের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। গবেষকদের মতে, স্বপ্নের রহস্য উন্মোচন করলে মানুষের মস্তিষ্ক সম্পর্কে আরো গভীর ধারণা পাওয়া যাবে। যন্ত্রটির উন্নত সংস্করণ ভবিষ্যতে স্বপ্নের বিস্তারিত তথ্য জানাতে সহায়তা করবে বলে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস।