মহাকাশ বিজ্ঞানের প্রতি শিশু-কিশোরদের আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যে স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প সফলভাবে আয়োজন করেছে 'দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কিডস স্পেস ক্যাম্প ২০২৫'। দিনব্যাপী ক্যাম্পটি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সারাদেশের ৮৫ স্কুলের শিশু-কিশোররা অংশগ্রহণ করে। মহাকাশ প্রযুক্তি, রোবোটিক্স, রকেট সায়েন্স ও অ্যাস্ট্রোনট প্রশিক্ষণের মতো ভিন্ন ধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের জন্য ছিল অনন্য শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা।

অভিজ্ঞ মিশন কন্ট্রোলারদের সহযোগিতায় শিশু-কিশোররা শিখেছে মডেল রকেট তৈরি ও উৎক্ষেপন, স্পেস রোবট তৈরি ও প্রোগ্রামিং, টেলিস্কোপ তৈরি ও মহাকাশ পর্যবেক্ষণ, মঙ্গল ও চাঁদের জন্য কলনি ডিজাইন, ছিল ভি আর বেইসড অ্যাস্ট্রোনট প্রশিক্ষণ। এছাড়া শিশু-কিশোরদের একটি টীম মার্স কলোনি তৈরীর পাশাপাশি পাবলিশ করেছে রিসার্চ পেপার।

আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ফাউন্ডার মেম্বার ও ভাইস চেয়ারম্যান (এআইইউবি) ড. হাসানুল এ হাসান। তিনি বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আমাদের দেশে এই ধরনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। শিশু-কিশোররা আজকের এই কর্মশালায় যে ধরনের এক্টিভিটিগুলো করেছে তা তাদের সৃজনশীলতা ও কৌতূহল আরও বাড়িয়ে তুলবে। আমি বিশ্বাস করি, এই ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী ও মহাকাশ গবেষকদের তৈরি করতে সাহায্য করবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের ইকোনমিক অফিসার জেমস গার্ডিনার। তিনি বলেন, স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে, যেখানে শিশু-কিশোররা মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে ছোট বয়স থেকেই স্বপ্ন দেখা শুরু করতে পারছে। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের বিজ্ঞানী, গবেষক ও নভোচারী। তারা এখানে নতুন কিছু শেখার, আবিষ্কারের এবং নিজেদের কল্পনাশক্তিকে বাস্তবে রূপ দেয়ার সুযোগ পেয়েছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।

স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্পের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের লক্ষ্য আগামী দিনেও শিশু-কিশোরদের জন্য আরও নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে আসা, যাতে তারা শিখতে পারে, আবিষ্কার করতে পারে এবং নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে পারে। 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের (এআইইউবি) মেম্বার ড. কারমেন জে. লামাগ্না, এআইইউবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম এবং প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহমান প্রমুখ।

আয়োজনে নলেজ পার্টনার হিসেবে ছিল ক্রিয়েটিভ জুনিয়র, টেক পার্টনার ই-সফট ও রোবাস্ট রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট, মিডিয়া পার্টনার এনিগমা টিভি এবং সহযোগিতায় ছিল সায়েন্টিফ্লাই, কিডস কোডিং ক্লাব ও টীম এটলাস।