এবার স্পেশ স্টেশনে চিনা বাধাকপি ও সর্ষের চাষাবাদ!

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২১, ০৯:৩৬ পিএম

সেখানে গাছের চারা পুঁতবেন তিনি।
কেউ মঙ্গলে যেতে চায়, আবার কেউ চাঁদে। বিশ্বের বহু মানুষের মহাকাশে যাওয়ার ইচ্ছা। কিন্তু গেলেই তো আর হল না। মহাকাশে থাকার নিয়ম-কানুন জানাটাও জরুরি। সেই সঙ্গে চাঁদ বা মঙ্গলে জীবন-যাপন কেমন হতে পারে, তা নিয়েও বিস্তর গবেষণা চলছে। তবে সেই গবেষণা যে অনেকদূর এগিয়েছে তা বলাই যায়। না হলে স্পেস স্টেশন -এ চাষবাসের কথা ভাবা হত না। খবর নিউজ ১৮ বাংলার।
হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। স্পেস স্টেশনে এবার চাষবাস হবে। আর সেই নিয়ে পরীক্ষা নীরিক্ষার জন্য স্পেশ স্টেশনে থাকা মহাকাশচারীর জন্য চিনা বাধাকপির (পাক চোই) চারা, সর্ষে পাঠিয়েছে। পৃথিবী ছাড়া আর কোথাও চাষবাসের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে কি না সেটা খতিয়ে দেখাই নাসার উদ্দেশ্য। তা ছাড়া মঙ্গলে ভবিষ্যতে মানুষের বসবাসের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।
স্পেশ স্টেশনে থাকা মহাকাশচারীর খাওয়ার জন্য পাক চোই পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি সেখানে ওই গাছের চারাও পুঁতবেন। এছাড়া সর্ষে ও লেটুস শাকও পাঠানো হয়েছে সেই মহাকাশচারীকে। তিনি সেগুলি মঙ্গলের মাটিতে পুঁতবেন। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, এই মিশন সফল হলে মঙ্গল বা চাঁদে মানুষের ভবিষ্যতে বসবাসের সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হবে।
নাসা এদিন ওই স্পেশ স্টেশনের একটি ছবি শেয়ার করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মহাকাশবিজ্ঞানী চিনা বাধাকপিতে সোয়া সস্ ও গার্লিক পেস্ট ছড়িয়ে খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ওই মহাকাশচারী নির্ধারিত পদ্ধতিতে গাছের চারা মঙ্গলের পৃষ্ঠে রোপন করবেন। তার পর সেই চারা গাছে রূপান্তরিত করার জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সবরকম চেষ্টা করবেন।