×

অর্থ শিল্প বাণিজ্য

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য

আমদানি বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ৬ কৃষিপণ্যের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আমদানি বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ৬ কৃষিপণ্যের

ছবি: সংগৃহীত

   

দেশের মানুষের পর্যাপ্ত চাহিদা পূরণে গম, ভুট্টা, বিভিন্ন ডাল, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, হলুদ, জিরা, আলু আমদানি করা লাগে। শুধুমাত্র দেশীয় উৎপাদন দিয়ে এসব কৃষিপণ্যের চাহিদা মেটে না। সমাপ্ত (২০২৩-২৪) অর্থবছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় এমন ১১টি কৃষিপণ্যের মধ্যে ৬টির আমদানি বেড়েছে, কমেছে ৫টির। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আমদানির তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব জানা গেছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে- গত অর্থবছর (২০২৩-২৪) দেশে গম, মসুর ডাল, রসুন, হলুদ, জিরা ও আলুর আমদানি বেড়েছে। আর কমেছে ভুট্টা, ছোলা, মুগডাল, পেঁয়াজ ও আদার আমদানি।

গত অর্থবছর অত্যাবশ্যকীয় কৃষিপণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেড়েছিল গম আমদানি, যা বিগত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তথ্য মতে- ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬৬ লাখ ৬২ হাজার টন গম আমদানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৬ লাখ টন বেশি। ওই অর্থবছর (২০২২-২৩) আমদানির পরিমাণ ছিল ৫০ লাখ ২৫ হাজার টন। এছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫৫ লাখ ৭৯ হাজার টন ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫৪ লাখ ৫৩ হাজার টন গম আমদানি হয়।

যদিও এ তথ্যের সঙ্গে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের গম আমদানির তথ্যের কিছুটা ফারাক রয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬৮ লাখ ৭ হাজার টন গম আমদানি হয়েছে বলে তথ্য দিচ্ছে। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান আমদানি করেছে ৭ লাখ ৮৩ হাজার টন। বাকি ৬০ লাখ ২৪ হাজার টন আমদানি করেছে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, দাম কম থাকায় গত ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত প্রচুর গম আমদানি করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। পাশাপাশি সরকারও এ সময় রাশিয়া থেকে গমের একটি বড় চালান কিনেছে। এছাড়া ইউক্রেন, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া ও উরুগুয়ে থেকে গম কেনা হচ্ছে। ওইসব দেশ থেকে ২২৭ থেকে ২৪০ ডলারের মধ্যে প্রতি টন গম কেনা যাচ্ছে, যা আগের তুলনায় প্রায় অর্ধেক।

গত অর্থবছর ৩০ হাজার ৯১ টন হলুদ ও ৩৩ হাজার ১৩০ টন জিরা আমদানি হয়েছে। এ সময় পণ্য দুটির আমদানি বেড়েছে আগের অর্থবছরের চেয়ে যথাক্রমে প্রায় আড়াই হাজার ও আট হাজার টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে হলুদের আমদানি ছিল ২৭ হাজার টন ৬৯৩ টন ও জিরার ২৫ হাজার ২৮০ টন। গত তিন বছর আগেও আলু উৎপাদনে বাংলাদেশ ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ছিল বেশি। এমনও হয়েছে, বাড়তি আলু পচে নষ্ট হয়েছে হিমাগারে। সে সময় দাম পায়নি চাষি।

চাহিদার বাড়তি আলু রপ্তানি হতো বিশ্বের ১৬টি দেশে। তিন বছর আগে (২০২০-২১) দুই লাখ টন আলু রপ্তানির রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। এরপর দুই বছর কিছুটা কমে। এখন ঘাটতি পূরণে আলু আমদানি হচ্ছে। দেশের ইতিহাসে গত অর্থবছর থেকে প্রথম খাওয়ার আলু আমদানি হয়েছে। আগে মূলত উৎপাদনের জন্য কিছু আলুবীজ আমদানি হতো।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আলু আমদানি হয়েছে ৯৭ হাজার ২১৯ টন। একই সময়ে আলু রপ্তানি হয়েছে ১২ হাজার ৩৫২ টন। অর্থাৎ, রপ্তানির প্রায় আটগুণ আলু আমদানি হয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে আলুর দাম বাড়তে থাকায় বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রথমবার আলু আমদানির অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপর ২ নভেম্বর বাণিজ্যিকভাবে আলু আমদানি শুরু হয়।

গত বছর রমজানে দেশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছিল মসুর ডালের দাম, যা এখনো বাড়তি। ওই সময় ব্যবসায়ীরা বলেছিলেন, ডলার সংকটে মসুর ডালের আমদানি কমেছে, যার প্রভাব পড়েছে বাজারে।

তবে অর্থবছর শেষে দেখা যাচ্ছে, মসুর ডালের আমদানি অন্য বছরের তুলনায় বেড়েছে। তথ্য বলছে, দেশে গত অর্থবছর ৫ লাখ ২৯ হাজার টন মসুর ডাল আমদানি হয়েছে, যা আগের বছর ছিল ৫ লাখ ২২ হাজার টন। এছাড়া ২০২১-২২ এ দেশে ৪ লাখ ৩৬ হাজার টন ও ২০২০-২১ অর্থবছর ৩ লাখ ১৮ হাজার টন মসুর ডাল আমদানি হয়। দেশে বর্তমানে সব ধরনের মিলে বার্ষিক ডালের চাহিদা প্রায় ২৬ লাখ টন। সেখানে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ১০ লাখ টন। এদিকে বিগত অর্থবছরে আমদানি কমেছে ছোলা, মুগডাল, ভুট্টা, পেঁয়াজ ও আদার।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App