প্রকৃতি পাঠ
গোলাপি ফুরুস

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

গোলাপি ফুরুস সৌন্দর্যের দিক দিয়ে অনন্য। ফুরুস গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম খধমবৎংঃৎড়বসরধ রহফরপধ. এটি খুঃযৎধপবধব পরিবারের উদ্ভিদ। ইংরেজিতে (পৎধঢ়ব সুৎঃষব) ক্রেপ মার্টল নামে পরিচিত। অনেকে এই ফুলকে চেরি ফুল বলে ভুল করেন। ফুলটি আসলে ফুরুস ফুল বা ছোট জারুল। এর আদি নিবাস চীন। সৌন্দর্যের দিক দিয়ে এটি খুবই অনন্য। প্রায় চার মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। এরা শক্ত, ডালপালা ভরা পত্রমোচি গাছ। কাণ্ড বাদামি মসৃণ। পাতার পত্রবিন্যাস একান্তর বা ঘূর্ণিত তিনটি পাতা থাকে, ডিম্বাকার, ৩.৫-৬ সেমি লম্বা, মসৃণ। বর্ষায় ডালের আগায় ছোট ছোট ফুলের বড় বড় থোকা, নানা রঙের ফুল- সাদা, গোলাপি, লাল, বেগুনি। ফুল ৩ সেমি চওড়া, পাপড়ি ৬, কোঁকড়ানো। কলম ও শিকড় থেকে গজানো চারার মাধ্যমে বংশবিস্তার। বসন্তে ছেটে দিলে নতুন ডালে প্রচুর ফুল ফোটে। জারুল, ফুরুস ও চেরি ফুলের পরিচয় এবং শনাক্তকরণ নিয়ে বৃক্ষপ্রেমীদের মাঝে রয়েছে নানা বিভ্রান্তি। একই পরিবারভুক্ত জারুল, ফুরুস, চেরি সহজে চিনতে পারবেন ফুলে নয়, পাতা ও বৃক্ষের আকার দেখে। জারুলের পাতা বেশ বড় আকারের, কিছুটা কদম কিংবা আতার পাতার মতো, গাছ ও ফুল বড়। ফুরুসের পাতা মাঝারি, অনেকটা বাউকুলের পাতা আকৃতির। গাছ ও ফুল মাঝারি সাইজের। চেরির পাতা অনেকটা আপেল কুল বা বরই পাতার মতো ছোট ছোট। ফুল ও গাছ ছোট আকৃতির। দ্রুত বর্ধনশীল ফুরুস আর্দ্রতাযুক্ত মাটি এবং সূর্যালোকে ভালো জন্মে। কোনো অঞ্চলে একবার অভিযোজিত হয়ে গেলে, খরা সহনশীলও হয়ে ওঠে। ফুরুসের আকর্ষণীয় ও বৈচিত্র্যময় বর্ণের কারণে এর বিভিন্ন উচ্চতার, অধিক রোগপ্রতিরোধী ও অধিক পাপড়ি সমৃদ্ধ সঙ্কর প্রজাতির বিস্তৃতি এখন সর্বত্র। তন্মধ্যে ঈযবৎড়শবব, ঞঁংশবমবব, গরধসর, ঝবসরহড়ষব, ঞঁংপধৎড়ৎধ, চড়ঃড়সধপ, ঞড়হঃড় ইত্যাদি অধিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ফুরুসের প্রজাতিগুলো উল্লেখযোগ্য।