ভক্ত-অনুরাগীর হৃদয়ে আজও তিনি অমর

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আইয়ুব বাচ্চু
বাংলা ব্যান্ডের মহারাজাখ্যাত সংগীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। বাংলাদেশে যাদের হাত ধরে দেশীয় ব্যান্ড সংগীত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাদের একজন ছিলেন তিনি। শুধু গানই নয়, তার গিটারের সুর ছুঁয়ে গেছে অগণিত ভক্ত-অনুরাগীর হৃদয়ে। তাই তো তাকে গিটারের জাদুকর বলেও অভিহিত করেন অনেকে। ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্টে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কোটি ভক্তের ভালোবাসা নিয়ে চলে যাওয়া আইয়ুব বাচ্চুর জন্মদিন ছিল গতকাল। বেঁচে থাকলে পা রাখতেন ৬২ বছরে।
বাংলার এই রকস্টার না থাকলেও তার রেখে যাওয়া হাজারো ভক্ত-অনুরাগীরা তাকে স্মরণ করছেন, তার জন্মদিনে নিজেদের মতো করে উদযাপন করছেন। প্রায় তিন যুগের সংগীতজীবনে তিনি উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। ফেরারি মন, চলো বদলে যাই, এখন অনেক রাত, হকার, আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি, কষ্ট পেতে ভালোবাসি এবং রুপালি গিটারসহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা আইয়ুব বাচ্চু। তিনি শুধু রক বা ব্যান্ডের গানে সীমাবদ্ধ ছিলেন না।
আধুনিক গান, লোকগীতি দিয়েও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন তিনি। খুব অল্প গান করেছিলেন চলচ্চিত্রে। কিন্তু সেই অল্প ক’টি গানই তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। কলেজজীবনে ওঠার পরই বন্ধুদের নিয়ে একটি ব্যান্ড গঠন করেন তিনি। প্রথমে এর নাম ছিল ‘গোল্ডেন বয়েজ’। পরে অবশ্য নাম বদলে ‘আগলি বয়েজ’ রাখেন। এই ব্যান্ডের গায়ক ছিলেন কুমার বিশ্বজিৎ। আর গিটারিস্ট ছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। তারা স্থানীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান করতেন। ১৯৭৭ সালে ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডে গিটারিস্ট হিসেবে যোগ দেন আইয়ুব বাচ্চু।
সেখানে তিনি জেমসের সঙ্গে বাজিয়েছিলেন। তবে আইয়ুব বাচ্চুর উত্থানের সূচনা মূলত ১৯৮০ সালে ‘সোলস’-এ যোগদানের পর। এই ব্যান্ডের হয়ে ১০ বছর পারফর্ম করেছিলেন তিনি। ১৯৯০ সালে গড়ে তোলেন ‘লিটল রিভার ব্যান্ড’, যা পরে ‘লাভ রানস ব্লাইন্ড’ বা ‘এলআরবি’ নামে বিপুল খ্যাতি লাভ করে। কিংবদন্তি এই সংগীত শিল্পী ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মারা যান। মৃত্যুর দুদিন আগে তিনি রংপুরে তার শেষ কনসার্ট করেন। তাকে চট্টগ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।